স্ত্রী রোজিনাকে ক্ষুর দিয়ে জবাই করে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছে স্বামী সাইফুল। আর জীবন বাঁচাতে ইট দিয়ে আঘাত করে স্বামী সাইফুলের মাথা ফাটিয়েছে স্ত্রী রোজিনা। দুজনই এখন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন। রোজিনার দাবী, স্বামী সাইফুল মাদক সেবী আর সাইফুল বলেছে স্ত্রী রোজিনা পরোকীয়ায় লিপ্ত। এ কারনেই দুজনের বিবাদ। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার গভীর রাতে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামের।
আহত স্ত্রী রোজিনা খাতুন জানান, স্বামী সাইফুল ইসলাম মাদক সেবী। সে বিভিন্ন সময়ে অত্যাচার করতো। ২০২০ সালের প্রথমে সে সাইফুলকে তালাক দিয়ে বাপের বাড়িতে বসবাস করছিল। আট মাস আগে রোজিনার ঘরের সিদ কেটে ঘরে ঢুকে রোজিনাকে মারধর করে ও তার বাড়িতে নিয়ে আসতে চাই। টের পেয়ে গ্রামের লোকজন সালিশ করে দুজনকে আবারও বিয়ে দিয়ে দেন এবং রোজিনার বাবার বাড়িতে থাকার বন্দোবস্ত করেন।
সম্প্রতি আবারো নেশা করে রোজিনাকে মারধর করে। গত সোমবার রাতে রোজিনাকে ধারালো ক্ষুর দিয়ে জবাই করার চেষ্টা করে। এতে তার হাত জখম হয়। রোজিনার চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে রোজিনাকে উদ্ধার করে। এসময় রোজিনার ইটের আঘতে স্বামী সাইফুলের মাথা ফেটে যায়। রোজিনাকে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর সাইফুলকে বেধড়ক মারপিট করা হয়। সংবাদ পেয়ে বামন্দী ক্যাম্প পুলিশের একটি টীম সাইফুলকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে।
এদিকে সাইফুল হোসেনের মামা আব্দুস সালাম জানান, রোজিনা প্রবাসি এক ছেলের সাথে পরোকীয়াতে জড়িয়ে পড়েছে। এতে বারণ করায় রোজিনা ও তার বাড়ির লোকজন সাইফুলকে নির্যাতন করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়।
বর্তমানে দুজনই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন এবং শঙ্কামুক্ত।