গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামের নাহারুল ইসলাম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৯ নং আসামি সাবেক ইউপি সদস্য বিএনপি নেতা মহিবুল ইসলামকে (৬৮) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)—১২ এর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-৩ মেহেরপুর ক্যাম্পের একটি দল।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকে্্র মধ্যে তার মেঝো ছেলে স্যাকমো চিকিৎসক ঝন্টুর বাসাতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব—১২) এর একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে কাশিয়ানি থানা পুলিশের সহযোগীতায় তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত মহিবুল ইসলাম গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামের মৃতু ওয়াজ উদ্দীন মন্ডলের বড় ছেলে। সে বিএনপির স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা ও মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য (মেম্বর)।
আজ শুক্রবার (১ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান র্যাব—১২ এর ক্রাইম প্রিভেনসন সেন্টার (সিপিসি—৩) মেহেরপুর ক্যাম্পের কমান্ডার সিনিয়র এএসপি আশরাফ উল্লাহ পিপিএম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এর আগে একই মামলায় গত ৭ অক্টোবর ভোররাতে মহিবুল ইসলামের দুই ছেলে মো. সাহাবুর রহমান মিন্টু (৪০) ও মো. শাহা আলম ওল্টু (২৮) কে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামে তাঁদের শশুরবাড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে র্যাব। তারা মেহেরপুর জেলা কারাগারে রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৬ আগস্ট রাত ১০টার দিকে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে বাওট গ্রামের কুরু বিশ্বাসের ছেলে নাহারুল ইসলাম (৫৫) নিহত হন। এতে আহত হন উভয়পক্ষের আটজন।
আহতরা হলেন, নিহত নাহারুল ইসলামের বড় ভাই আইনাল হোসেন (৬২), আব্দাল হোসেন (৫৮), ইনামুল হক (৪০) ও তার ছেলে সিয়াম (১৭)।
অপরপক্ষের আহত হন মটমুড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি মেম্বার বিএনপি নেতা মহিবুল ইসলাম (৬৮), ভাই সাবেক মেম্বার বিএনপি নেতা আশরাফুল ইসলাম কালু (৫৬), হামিদুল ইসলাম (৪৬) ও আমিরুল ইসলাম (৪০)।
এ ঘটনায় নিহত নাহারুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হোসেন বাদী হয়ে গাংনী থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আসামিরা পলাতক ছিলেন।
আজ শুক্রবার সকালের দিকে গ্রেপ্তারকৃত মহিবুল ইসলামকে গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।