দি হাঙ্গার প্রজেক্ট যশোর অঞ্চলের কো-অর্ডিনেটর খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে বিনা কারনে ৪ জন ইউসিকে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চাকরিচ্যুতি হওয়া ভুক্তভোগী ইউসিগন।
সোমবার দুপুরে চাকরিচ্যুত ইউসি গোলাম আম্বিয়ার উপজেলার চিৎলার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন অভিযোগ লিখিত ভাবে পাঠ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে গোলাম আম্বিয়া তার লিখিত বক্তব্য বলেন, গোলাম আম্বিয়া ২০০৫ সালে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট চালিত ৫৫৭ তম উজ্জীবক প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণের মধ্য দিয়ে একজন সফল উজ্জীবক হিসেবে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সামাজিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করে আসছিলেন।
২০০৯ সালে স্বেচ্ছাব্রতী প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে (ভিটিআর) ২০১২ সাল পর্যন্ত দি হাঙ্গার প্রজেক্টে কাজ করে আসছি। ২০১২ সালে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট গাংনী উপজেলায় ৯ টি ইউনিয়নে এম ডিজি ইউনিয়ন গড়ার লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু করে তখন থেকে ১৬ মে ২০১২ সালে ইউনিয়ন সমন্বয়কারী হিসাবে যোগদান করি।
রাইপুর ও ধানখোলা ইউনিয়নে সফল ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি ধানখোলা ইউনিয়নের সমন্বয়কারী হিসাবে নিয়োজিত ছিলাম।
হঠাৎ গত ১০ মে .২০২২ ইং তারিখে গাংনী এরিয়া সমন্বয়কারী হেলালউদ্দীন অফিসে ডেকে বলেন, আপনাকে বদলী করে অন্য ইউনিয়নে দেয়া হবে।
এক পর্যায়ে গত ২৪ মে অফিসে স্টাফ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। ঐদিন মধ্য রাতেই হঠাৎ আমাকে কিছু না জানিয়ে ইউসি নিয়োগের বিঞ্জপ্তি প্রকাশ করে আমাকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয় জানায়। বাদ দেয়ার বিষয়টি আমি ফেইসবুক মারফত জানতে পারি।
এরিয়া কো-অর্ডিনেটর হেলাল উদ্দীন বলেন, কোন কারন ছাড়াই গোলাম আম্বিয়াকে বাদ দেয়া হয়েছে। কোন কৈফিয়ত দিতে তিনি রাজী না বলেও সাফ জানিয়ে দেন।
বিনা কারনে চাকরিচ্যুত করাকে অত্যন্ত দুঃখজনক ও অমানবিক বলে মন্তব্য করেন অনেকে। গোলাম আম্বিয়া আরো জানান, যশোর আঞ্চলিক কো-অর্ডিনেটর খোরশেদ আলমের সমপূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত স্বেচ্ছাচারীতা অসদাচরণ অত্যন্ত দুঃখজনক। তাই এসব অনিয়মের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
কো-অর্ডিনেটর খোরশেদ আলম স্টাফদের সাথে অসদাচরণ ও অসম্মান করে থাকেন। একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান মনে করা হলেও এর সাথে জড়িত কয়েকজন ব্যাক্তি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। মানবতা তার কাছে তুচ্ছ।
তিনি আরও জানান, দি হাঙ্গার প্রজেক্টের শুরু থেকেই আমি বিনা পারিশ্রমিকে প্রজেক্টের নানা কর্মসূচি পালনে আন্তরিকভাবে কাজ করে আসছি। আমার সহকর্মী আরও ২ জন বামন্দী ইউপির সমন্বয়কারী আহসান হাবিব ও সাহারবাটি ইউপির সমন্বয়কারী আজিবার রহমান স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এর সুষ্ঠ বিচার ও প্রতিকার দাবী করেন গোলাম আম্বিয়া সহ ভুক্তভোগীরা।