গাংনী উপজেলা যুবলীগ এর সভাপতি মোশাররফ হোসেন এবং আহবায়ক পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম। এ নিয়ে এর সংগঠনটি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে আছে। ফলে উপজেলা যুবলীগ ও সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগছে কে এই যুবলীগের চালিকা শক্তি।
পুরাতন কমিটিতে উপজেলা যুবলীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন সভাপতি পদে মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পদে শফি কামাল পলাশ।
এদিকে ২০১৬ সালের দিকে জেলা যুবলীগের নতুন আহবায়ক কমিটি গঠনের পর পরই গাংনী উপজেলা যুবলীগের নতুন কমিটি করার লক্ষ্যে মোশাররফ-পলাশ এর নেতৃত্বে যে কমিটি ছিল সেটা ভেঙ্গে দিয়ে নতুন করে আহবায়ক করা হয় গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামকে। তবে এ সিদ্ধান্তকে উপজেলা যুবলীগের অধিকাংশ নেতা কর্মী মেনে নিতে পারেনি এ নিয়ে তৎকালীন সময় উপজেলা যুবলীগের মধ্যে বেশ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনার পর পর কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতাদের কাছে উভয় পক্ষই ধর্ণা দেন। সভাপতি মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, উপজেলা যুবলীগের যে আহবায়ক কমিটি হয়েছে তা জেলা কমিটির নেতারা ইচ্ছা মতো করে দিয়েছে এটা কেন্দ্রীয় কমিটি জানেইনা।
এদিকে জেলা যুবলীগের আহবায়ক মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটনের সাথে জানতে চাইলে তিনি বলেন উপজেলা কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে আশরাফুর ইসলামকে আহবায়ক করা হয়েছে। আগের কমিটি বিলুপ্ত হওয়ায় এখন থেকে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শফি কামাল পলাশ তাদের পদ দাবি করতে পারেনা। সেক্ষেত্রে নতুন কমিটিতে যদি তারা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয় তাহলে তারা আবারও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হতে পারে।
জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় যুবলীগের এক নেতা বলেন, শুনেছি মেহেরপুর জেলায় নতুন করে আহবায়ক কমিটি করা হয়েছে সে সাথে গাংনী উপজেলা যুবলীগেরও পুরাতন কমিটি ভেঙ্গে নতুন করে আহবায়ক কমিটি করা হয়েছে। তবে উপজেলা যুবলীগের কমিটি সম্পর্কে জেলা যুবলীগের নেতারাই ভাল বলতে পারবে এমনটি জানান তিনি।
এদিকে মোশাররফ হোসেন ও মেয়র আশরাফুল ইসলাম উভয়ই নেতৃত্বের দাবিদার সেক্ষেত্রে কাকে উপজেলা যুবলীগের নেতা বলা যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন আসলে দুটি পক্ষই এখানে এসেছিল আমরা এখনো চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত কাউকেই দিতে পারিনি।
এ দিকে আগামী কাল যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীকে সামনে রেখে উপজেলা যুবলীগের ব্যানারে বিশাল জনসভার আয়োজন করেছে সংগঠনটি। এতে নেতৃত্বে দিচ্ছেন সংগঠনটির সভাপতি মো: মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো: শফি কামাল পলাশ।
তবে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক দাবিকারী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে কোন আয়োজন করেছেন কিনা তা এখনো জানা যায়নি।
তাছাড়া গাংনী উপজেলা যুবলীগের যে কোন কর্মকান্ডে মোশাররফ হোসেন ও শফি কামাল পলাশের নেতৃত্ব ছাড়া এখনো মেয়র আশরাফুলের ইসলামের নেতৃত্ব তেমন চোখে পড়েনি।
এখানকার তৃণমুল নেতা কর্মীরা এখনো উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো: মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো: শফি কামাল পলাশকেই মনে করে এবং তাদের নেতৃত্বেই যে কোন সভা সমাবেশ করে থাকে।
-এ শাহিন সিদ্দিকি