নিজের জমিতে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে শামীমা নাসরিন (৫০) নামের এক বিধবা পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষের ভাড়াটিয়ারা।
আহত শামীমা নাসরিন গাংনী উপজেলার কুমারীডাঙ্গা গ্রামের মৃতু মাহাবুবুল আলমের স্ত্রী।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারী) সকোলের দিকে তাকে পিটিয়ে একটি হাত ভেঙ্গে দেই তারা। এঘটনায় আহত শামীমা সুলতানা বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে গাংনী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
তারা হলেন, গাংনী উপজেলার সিন্দুরকৌটা গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে আমজাদ হোসেন, মৃত আকবর আলীর ছেলে ঝন্টু হোসেন, নায়েব আলীর ছেলে রতন হোসেন, মৃত ফকির মোহাম্মদের ছেলে কাফিরুল ইসলাম, সৈয়দ আলীর ছেলে ইব্রাহিম হোসেন, ইকবাল হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেন, মৃতু রাজতুল আলীর ছেলে আরফিন হোসেন, মৃতু মহসিন আলীর ছেলে জিন্দার আলী, মৃত গনি মুন্সীর ছেলে মোহাম্মদ আলী, কুমারীডাঙ্গা গ্রামের মৃতু চেতন আলীর ছেলে মো: শুকুর আলী, অঅব্দুস সাত্তারের ছেলে মুকুল হোসেন, মৃতু মহসিন আলীর ছেলে মামুন হোসেন ও মারুফ হোসেন।
শামীমার ভাই স্কুল শিক্ষক শরিফুল ইসলাম জানান, আমার বোনের স্বামী মাহবুবুল আলম ৯৮ সালের দিকে ৬ বিঘা জমি আমার বোন শামীমা নাসরিন, ছেলে সালমান শামীম সজল ও মেয়ে সাবরিনা মাহবুব মিথিলাকে রেজিষ্ট্রি করে দেন। ওই জমি মা ও ছেলে মেয়ের নামে খারিজ, মিউটিশন করা হয়েছে। জমিতে বুধবার সকালের দিকে মেহগনি গাছ কাটতে গেলে বোনের ভাসুর মকলেচুর রহমান, দেবর মুন্নাফ হোসেন মামুনের নেতৃত্বে একদল ভাড়াটিয়া এসে মারপিট করে। গাছ কাটার জন্য ব্যবহৃত কুড়ালের উল্টো পিঠ দিয়ে আঘাত করাই আমার বোন শামীমা নাসরিনের একটি হাত চার স্থানে ভেঙ্গে গেছে। তাকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্্র জরুরী বিভাগে দায়ীত্বরত চিকিৎসক পারভেজ জানান, তার হাতের উপরের অংশে ও একটি হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে হয়ে গেছে।
আহত শামীমা নাসরিন জানান, আমার স্বামীর দেওয়া জমি কুমারীডাঙ্গা মৌজার দাগ নং ২৯০,২৯১ এর ৪৯ শতক জমির মধ্যে ০৯.১৫ শতক জমিতে আমার মেহগনি বাগান আছে। ওই জমির মেহগনি গাছ লোক দিয়ে কাটছিলাম।হঠাৎ বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্র ও লোহার রড, ধারালো অস্ত্র নিয়ে অর্তকিত হামলা করে আমাকে আহত করে।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।