গাংনীর গাড়াবাড়ীয়াতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ঈদগাহ ময়দান, কবরস্থান ও কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজের সাথেই গরু ছাগলের খামার স্থাপন করছেন একই গ্রামের আব্দুল করিমের পুত্র ধনীউল্লাহ।
এ নিয়ে গত ১২/০৮/২০২০ তারিখে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন তিন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সেক্রেটারি প্রধান শিক্ষক সহ সাধারণ জনগণ।
সেই অভিযোগের ভিত্তি তে আজ সোমবার সরজমিনে তদন্ত করতে আসেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মস্তফা জামান।
তিনি বলেন, আমি চাই বাংলাদেশ তথা সকল স্থানে খামার স্থাপন হোক কিন্তু খামার স্থাপন করতে গিয়ে কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ দূষণ হোক সেটা আমি চাই না। তাছাড়াও আপনাদের এই জমিতে প্রবেশ করার মত কোন পথ নেই। আপনাদের আসতে হলে স্কুলের খেলার মাঠের উপর দিয়ে আসতে হবে। সেই ক্ষেত্রেও আপনার খামার পরিচালনা করতেও সমস্যা হবে। সাথে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান শিক্ষা প্রতিষ্টানের তো বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হবেই।
এ বিষয়ে কবরস্থান কমিটির সভাপতি মোফাজ্জেল আলী জানান, বার বার নিষেধ করার পরেও তারা খমার স্থাপন করেই চলেছে। এবং এই খামার হলে আমাদের জানাযার নামাযের ব্যাঘাত ঘটবে।
এ বিষয়ে কুকুবপুর স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাফিজুল ইসলাম জানান, আমাদের স্কুল এন্ড কলেজের খেলার মাঠের সাথেই স্থাপন হচ্ছে এই গরু ছাগলের খামার যা ছেলে মেয়েদের খেলা ধুলা করতে সমস্যা হবে। সেই সাথে পাশেই ক্লাসরুম ছেলে মেয়েদের ক্লাস করাতে গিয়েও দুর্গন্ধ ছুটতে পারে। তাছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান ক্ষুন্ন হবে।
এ বিষয়ে গাড়াবাড়ীয়া জান্নাতুল মাওয়া ঈদগাহ ময়দানের সভাপতি রেজাউর রহমান জানান, আমাদের ঈদগাহ ময়দানের মিনারের সাথেই এই খামারটি স্থাপন করছেন যা আমাদের ঈদের নামাযের ব্যাঘাত ঘটাবে। এবং ঈদগাহ ময়দানের প্রাচীর সহ আশেপাশে গরু ছাগলের মলে দুর্গন্ধ সহ নোংরা সৃষ্টি হবে। তাই আমরা উপজেলা প্রসাশন বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলাম তার পরিপ্রেক্ষিতে আজ তদন্ত করে গেছেন।
এ বিষয়ে খামারের মালিক ধনী উল্লাহ বলেন, বেশি গরু পালনের সিদ্ধান্ত নেই। কোন রকম খামার টি কষ্ট করে দাঁড় করাচ্ছি। পরে আমার জমির এরিয়ায় উচা করে ঘিরে নিলে কোন রকমই দুর্গন্ধ ছড়াবে না।
তার জমির নিজস্ব কোন পথ আছে কি জিজ্ঞেস করলে বলেন নেই। তবে জানান খেলার মাঠের উপর দিয়েই আমরা বর্তমানে চলাচল করছি।