গাংনী খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহকৃত চাল চুয়াডাঙ্গার দুটি গোডাউন থেকে জব্দ করা হয়। জব্দকৃত চাল সঠিক প্রক্রিয়ায় সরবরাহ করা হয়েছে এবং তার বিক্রি করে নগদায়ন করায় কোন অনিয়ম হয়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন তদন্ত কমিটি।
সোমবার দুপুরে এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটির সদস্যরা দুই জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত প্রতিবেদনে দুটি বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে প্রথমটি প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রকল্প সভাপতিগনের প্রকল্প কমিটির সদস্যদের এবং স্থানীয় উপকারভোগীদের অবগত করার বিষয়ে সচেতনতার অভাব ছিলো। একানে জনমনে সন্দেহ বা উদ্রেক হয়েছিলো। এছাড়া বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী বরাদ্দকৃত চালে ৬০ ভাগ বিক্রয় করে নগদায়ন করার সুযোগ রয়েছে। দ্বিতীয়টি , প্রকল্প সমুহ যেন সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন হয় এবং কোন অনিয়ম যেন না হয় এজন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া যেতে পারে বলে সুপারিশ করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানিয়েছেন, ৩৭ টন (১২শ’৬৬ বস্তা) চাল বিক্রয়ে কোন অনিয়ন পাওয়া যায়নী। চাল মালিকদের কাছে চাল বুঝিয়ে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য : সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সাতগাড়ীর গোডাউন দুটিকে ৩৭ টন (১২শ’৬৬ বস্তা) চালসহ সিলগালা করে উপজেলা প্রশাসন। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসন পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিতে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।