গাংনীর ছাতিয়ান গ্রামের স্ত্রীর দাবী নিয়ে অনশনে রয়েছে এক প্রেমিকা নারী। হয় স্বামীর অধিকার,না হয় মৃত্যু! এ দু’ই আমার একমাত্র কামনা। দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক থেকে স্ত্রী হয়েছি। এখন কেনো অধিকার দিবেনা। তাকে ভাল বেসে পরিবার পরিজন সব ছাড়তে হয়েছে। অধিকার না পেলে মৃত্যু ছাড়া আমার যাবার আর কোনো রাস্তা খোলা নেই । যতদিন স্ত্রীর অধিকার না পাবো ততদিন স্বামীর ঘরের দরজায় পিঠ লাগিয়ে বসে থাকবো। এসব কথা বলছিলেন অনশনকারি স্ত্রীর দাবীতে অনশনকারি বিলকিচ খাতুন। স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে বুধবার সকাল ১০ টা থেকে অনশন করেছে ওই প্রেমিকা।
জানা গেছে, প্রেমিক সাব্বির হোসেন (২৫) উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ান গ্রামের সাবেক মেম্বার শওকত আলীর ছেলে। প্রেমিকা গাংনী উপজেলার খাসমহল গ্রামের মৃত সাইদুর রহমানের মেয়ে বিলকিস খাতুন (২১)। কয়েক বছর আগে তাদের সম্পর্ক প্রেমের সম্পর্ক গড়ে। অতঃপর প্রেমের সম্পর্ক জায়েজ করতে গত ০৭-০৮-১৯ সালে কুষ্টিয়া নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর ৩ মাস সংসার করলেও পরে সাব্বির হোসেন কোন খোঁজখবর ও স্ত্রীর স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেন।
বিলকিস খাতুন জানান,সাব্বিরের গ্রামে আমার আত্মীয় থাকার সুবাদে তার সাথে এর আগে থেকেই পরিচিত। আমি কুষ্টিয়া নার্সিং ও সাব্বির পলিটেকনিকেলে লেখাপড়া চলাকালীন অবস্থায় দ’ুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সেটি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করি। ছাব্বির আমাকে ২লক্ষ টাকায় দেনমোহরে বিয়ে করেছে। আমার কাছে প্রমাণ স্বরূপ কোর্টে এফিডেভিট কপি ও নিকাহনামা রয়েছে।বিলকিস খাতুনের খালা মালতি বেগম জানান, বিয়ের পরে সাব্বির ও বিলকিস আমার বাসাতে রাত্রিযাপন করে এসেছে দির্ঘদিন। গত ০৮ মাস হচ্ছে সাব্বির হোসেন কোনো খোঁজ খবর রাখে না এ ব্যাপারে সাব্বিরের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানায়,এই মেয়েটি এখানে আসার সাথে সাথে সাব্বির গা ঢাকা দিয়েছে।
স্থানীয়রা আরো জানান,সকাল থেকে সাবেক মেম্বার শওকত আলীর বাসার সামনে স্ত্রী স্বীকৃতির দাবিতে বিলকিস খাতুন নামের একজন মেয়ে অবস্থান নিলে উৎসুক এলাকাবাসী দেখার জন্য ভিড় করে শওকত মেমম্বারের বাড়ি।
গাংনী থানার ওসি(তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম জানান,ঘটনাটির বিষয়ে আমরা অবহিত হয়েছি।ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, ভিকটিমের পরিবার থেকে এ বিষয়ে অভিযোগ করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।