গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে এক দরিদ্র মাছ ব্যবসায়ী বসতবাড়িসহ গোয়াল ঘরে থাকা ২টি গরু পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে।
আজ রোববার সকাল ১১ সাহারবাটি ইউনিয়নের জোড়পুকুরিয়া গ্রামের সাইরপাড়া এলাকার মাছ ব্যবসায়ী হারান আলীর বসতঘরে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। হারান আলী ওই এলাকার চান আলী’র ছেলে। এঘটনায় ওই কৃষকের কমপক্ষে ৪ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী গৃহকর্তা।
অগ্নিকান্ডের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য শাহাবুদ্দীন। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় হারান আলীর ছোট বোন রঙ্গিলা ও স্বামী পরিত্যক্ত বাছেনা খাতুনের ঘরবাড়িও পুড়ে গেছে। জানা গেছে, জোড়পুকুরিয়া গ্রামের সাইরপাড়া বাসিন্দা হারান আলী পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী। সময়ে সময়ে তিনি দিনমজুরী কাজও করেন। তাদের বসতঘর লাগোয়া ছিল গরুর গোয়াল ঘর। আজ সকাল ১১ টার দিকে তার বোন রঙ্গিলা খাতুনের বসতঘরে বৈদ্যুতিক সটসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। ওইসময় আগুন মুহূর্তে বসতঘর থেকে পাশের গোয়াল ঘর ও খড়ের গাদায় ছড়িয়ে পড়ে।
ইউপি মেম্বর শাহাবুদ্দীন বলেন, ওইসময় বসতঘরে পরিবার সদস্যরা ছিলোনা। আগুন ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা পানি ছিটিয়ে নেভানোর পাশাপাশি বামন্দী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। ততক্ষণে গোয়াল ঘরে থাকা ২টি গরু পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায়। অগ্নিকান্ডে বসতঘরের সঙ্গে নগদ সাড়ে ৬ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ও বিভিন্ন মালামাল পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে যায়। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
খবর পেয়ে বামন্দী ফায়ার স্টেশনের পানিবাহি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও ততক্ষনে কৃষক দরিদ্র মাছ ব্যবসায়ী হারান আলী, রঙ্গিলা খাতুন ও বাছেনা খাতুনের সহায় সম্বল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে রয়েছে তিনটি পরিবারের সদস্যরা। গৃহকর্তা হারান আলী বলেন, আগুন লাগার সময় পরিবার সদস্যরা কেউ ছিলনা। আগুনে পুড়ে সবকিছু ভস্মিভূত হয়ে গেছে আমার।