মেহেরপুরের গাংনী পৌর এলাকার পূর্বমালসাদহ গ্রামে চম্পা খাতুন (২০) নামের এক গৃহবধুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দৃর্বৃত্তরা। এসময় তার স্বামী জুয়েল রানাকেও (৩০) কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।
এক পুত্র সন্তানের জননী নিহত চম্পা পূর্বমালসাদহ গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক জুয়েল রানার স্ত্রী।
মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যেরাতে নিজ বাড়িতে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যেরাতে জুয়েল রানার বাড়ি থেকে চিৎকারের শব্দ পেয়ে প্রতিবেশীরা দৌড়ি এগিয়ে গিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় চম্পার লাশ পড়ে থাকতে দেখে । এসময় বাড়ির অদূরে স্বামী জুয়েলকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত জুয়েল রানা জানান, রাতে আমার স্ত্রী বাথরুমে যেতে চাইলে আমরা স্বামী-স্ত্রী ঘরের বাইরে যায়। ওত পেতে থাকা একদল সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা করে ও তাৎক্ষনিকভাবে চাঁদার দাবি করে। চাঁদার দাবি পূরণ না করায় তারা স্ত্রীকে শ্বাসরােধে ও কুপিয়ে হত্যা করে। আমি ঠেকাতে গেলে,সন্ত্রাসী আমাকে কুপিয়ে আহত করে। এসময় প্রাণ বাঁচাতে আমি চিৎকার করলে,প্রতিবেশীরা এসে উদ্ধার করে।
গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার লাশের ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেয়া হবে। কে বা কাহারা হত্যা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।