মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মহম্মদপুর চর গোয়ালগ্রাম পশ্চিমপাড়া মাথাভাঙ্গা নদী পাড়ের মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করছে স্থানীয় রিয়াজউদ্দীনের ছেলে বাবুল ও রবিউল ইসলাম। কয়েকদিন ধরে স্থানীয় ওই দুই ব্যাক্তি নদী পাড়ের জমির মালিকানা দাবী করে মাটি বিক্রি শুরু করেছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ট্রলি ভর্তি মাটি বহন করায় এলকাবাসিসহ পথচারিরাও বিপাকে পড়েছেন। মাটি বিক্রেতা জানিয়েছেন নদীর পাড় হলেও জমির মালিকানা আমাদের। তবে কত টুকু জমির মালিাকানা রয়েছে তার পরিমাপ জানেনা তিনি। উপজেলা প্রশাসন বলছেন দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ১০/১২ জন মাটি কাটা শ্রমিক ডালি কোদাল নিয়ে নদী পাড়ের মাটি কেটে ট্রলি বোঝায় কাজে ব্যস্ত রযেছেন। তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হলে একে একে সটকে পড়েন তারা । একজন শ্রমিক জানান এই মাটি বাবুল ও রবিউল কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করছেন। আমরা তাদের শ্রমিক। পরে বাবুলকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কথা না বলে চলে যান। ছুটে আসেন রবিউল ইসলাম। তিনি জানান এটা আমাদের জমি, আমরা কাটছি। পরে তাদের জমির পরিমাণ জানতে চাইলে তিনি জানান,আমি জমির পরিমাপ জানিনা। পরে তার এক চাচাকে মোবাইল করে জমির পরিমাপ জানতে চাইলে তিনিও সঠিক তথ্য জানেনা বলে জানান। রবিউল আরও জানান, নদীর পাড়া কেটে আবাদের জন্য প্রস্তত করা হচ্ছে। মাটি কোথায় রাখছেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান,স্থানীয় ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রায় এক বিঘারও বেশি জমি কেটে ইতোমধ্যে বিক্রি করা হয়েছে। এখনও চলছে নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রির উৎসব। দ্রত ব্যবস্থা না নেয়া হলে নদীর পাড় ভাঙ্গন শুরু হবে।
স্থানীয় মটমুড়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসের তহশিলদার বদরুন্নাহার জানান, বিষয়টি আমি জেনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। যারা মাটি কেটেছে তাদের সাথে কথা হয়েছে। তারা জমির মালিকানা দাবী করেছেন। আমি সরকারি সার্ভিয়ার দিয়ে জমি মেপে দেখবো।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) রনি খাতুন জানান, প্রাথমিক ভাবে তহশিলদারকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। মাটি কাটতে নিষেধ করা হয়েছে। জমিটি তাদের বরে দাবী করেছে রবিউল ও বাবুল। জমি জরিপের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।