গাংনীর সাহারবাটিতে পুর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক পক্ষের তিন জন আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন, সাহারবাটি গ্রামের ইসলামের ছেলে সুজন (২৫),দাউদ হোসেনের ছেলে আমানুর (৪৫) ও রেহান আলীর ছেলে আয়েছ (৩৭)। আহত সুজনকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে, আমানুর ও আয়েস কে গ্রামে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধা সাড়ে ৭ টার দিকে সাহারবাটি চারচারা বাজারে এঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় এলাকায় চলছে টানটান উত্তেজনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাহারবাটি বাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয়সুত্রে জানাগেছে, সাহারবাটি গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে রাকিবুল ইসলাম টুটলদের লোকজনের সাথে সুজনের পিতা ইসলামের মধ্যে দির্ঘদিন ধরে হামলাম মামলার ঘটনা ঘটে আসছিল। একটি হামলার ঘটনায় টুটুল পক্ষের লোকজনের নামে আদালতে একটি মামলা রয়েছে। মামলার বাদী সুজনের পিতা ইসলাম।
ইসলামের অভিযোগ আদালতের মামলা তুলে নিতে প্রায় হুমকি দিতেন টুটুল ও তার লোকজন। মামলা তুলে না নেয়ায় টুটুলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে আজকে সন্ধায় সুজনকে মারধর করে আহত করা হয়েছে এমন অভিযোগ করেন সুজন ও তার পরিবার।
এঘটনায় আমানুর ও আয়েস আলীকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। আহদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্থানীয়রা। হামলার ঘটনায় সাহারবাটি বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জানায়, আমি ইফতার করে বাজারে চায়ের দোকানে আসছিলাম এরমধ্যেই বেশ কয়েকজন লোক দেশীয় অস্ত্র এবং লাঠি নিয়ে বাজারে মহড়া দেয়। পরে সুজন, আমানুর ও আয়েসকে মারধর করে চলে যায়। এঘটনায় বাজারে শুরু হয় উত্তেজনা।
সাহারবাটি গ্রামের রাকিবুল ইসলাম টুটুল জানায়, আমি আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করছি। এতে অনেকের গায়ে জ্বালা ধরেছে। অনেকেই মিথ্যা রটাচ্ছে আমার ও আমার সমর্থকদের নামে। এমতাবস্থায় সাহারবাটি গ্রামের একাধিক মামলার আসামী আয়েস ও তার ভাই আমানুর ও সুজন আমাকে হত্যার হুমকি। সুজন নামের যে ছেলে আহত হয়েছে তার কাছে চাইনিজ কুড়াল নিয়ে আমাকে হুমকি দেয়। আজকের ঘটনা তারই বহিপ্রকাশ।
গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, বাজারের লোকজন আমাকে মোবাইল করেছিল। সেখানে পুলিশের একটি টিম সেখানে পাঠানো হয়েছে। তিনজনকে আহত করা হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।