ছেলে এবং পুত্র বধুর নির্যাতনের অতিষ্ট সেই বৃদ্ধা রমেছা খাতুন মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
রমেছার ভাই আরজ আলী মোবাইল ফোনে এই মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গতকাল বুধবার দিনব্যাপি বৃদ্ধা রমেছা খাতুনের ছেলে বাকিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সালমা খাতুন ঝগড়া ঝাটির এক পর্যায়ে তাকে দফায় দফায় শারীরিক নির্যাতন করেছিল।
ফলে দিবাগত রাত ৮টার দিকে রমেছা খাতুন তাদের নির্যাতন থেকে বাঁচতেই বিষপান করেন। রমেছা খাতুন গাংনী উপজেলার কোদাইলকাটি কারিগর পাড়া এলাকার নবী ছদ্দিনের স্ত্রী। তার একমাত্র ছেলে বাকিরুল ও তার স্ত্রী সালমা খাতুনের হাতে প্রায় দিনই শারীরিক নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছিলেন তিনি।
রমেছা খাতুনের ভাই আরজ আলী ও প্রতিবেশীরা জানান, রমেছার ছেলে বাকিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সালমা খাতুন পান থেকে চুন খসতেই রমেছা খাতুনের উপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। বুধবার দিবাগত রাতে সামান্য ঝগড়াকে কেন্দ্র করে ছেলে ও পুত্রবধূ রমেছাকে বেদম মারধর করেন। পুত্রবধূ ও ছেলের মারধর সহ্য করতে না পেরে নিজ ঘরে বিষপান করেন।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এঘটনায় পরিবারের লোকজনের কোনো অভিযোগ নেই। এছাড়া রমেছার মরদেহ না করার জন্য পরিবারের লোকজন আবেদন করেছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সুপারিশের কারনে ময়না তদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।