ঘন কুয়াঁশা, থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আর কনকনে শীতে যবুথবু হয়ে পড়েছে মেহেরপুর জেলার মানুষ।
দুই দিন যাবৎ সুর্য়ের মুখ দেখতে না পাওয়ায় জেলার ছিন্নমুল, অসহায় ও দিন এনে দিন খাওয়া মানুষগুলো পড়েছেন চরম বেকায়দায়।
আজ রোববার (২২ জানুয়ারী) সকাল ৯ টার সময় চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস মেহেরপুর জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তবে সারাদিনের তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে উঠা নামা করেছে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হক জানান।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্বাধায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, কনকনে ঠান্ডা আর শীতের কারণে শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা ডাইরিয়া, শর্দি জ্বর হয়ে হাসপাতালে বেশি ভর্তি হচ্ছেন। গত কয়েকদিনে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল. গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
গতকাল সকাল থেকেই আকাশ কুয়াঁশাচ্ছন্ন থাকায় জরুরী প্রযয়াজন ছাড়া মানুষ তেমন ঘরের বাইরে বের হচ্ছেনা।সড়ক ও হাটবাজার গুলোতে মানুষের উপস্থিতিও তেমন নেই। দিনের বেলাতেও সড়কগুলোতে হেডলাইট জালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলতে দেখা গেছে।
গাংনী শহরের কামলার হাটে আসা দিন মজুরী সুফিয়া খাতুন পাঞ্জেরা বেওয়া ও রহিমা খাতুন জানালেন, ঘন কুয়াঁশা আর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারণে আমাদের মালিকরা কাজে নিচ্ছেনা। দুই দিন গাংনী বাজারে এসে আবারো ফিরে যাচ্ছি। কাজ কাম না থাকলেও পেট তো শুনছেনা। তাই কাজের প্রত্যাশায় শীত ও বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছি।
অটোচালক হামিদুল ইসলাম জানান, শীত আর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারণে মানুষজন তেমন বাইরে আসছেন না। তাই আমরা যাত্রীও পাচ্ছিনা। আগে যেখানে ৫ থেকে ৬ শ টাকা প্রতিদিন আয় হতো সেখানে দুই দিন ১ শ থেকে দেড় শ টাকা আয় করা দুঃস্কর হয়ে পড়েছে।
বর্ষপঞ্জি বলছে, র্পৌষ এবং মাঘ এই ২ মাস মিলে শীত কাল। শীতের সমাপ্তি। সিজারিয়ান বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী জানুয়ারি মাসের মধ্য ভাগ থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত মাঘ মাসের ব্যাপ্তি। সাধারণত ৩০ দিনে মাঘ মাস গণনা করা হয়। মাঘ মাসের শেষভাগে কখনো কখনো বৃষ্টি হয়ে থাকে। প্রবাদ আছে “মাঘের শীতে বাঘ পালায়। আবার এ মাসের আমের মুকুল আসে।