বর্তমান সময়ের এক আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯। নিজেকে এবং অন্যকে সুস্থ রাখতেই থাকতে হচ্ছে হোম কোয়ারেন্টিনে।
তবে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকলেও কাজ কিন্তু থেমে নেই বরং কাজের চাপ যেন বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। অন্যদিকে কাজের মানুষদের দিতে হয়েছে ছুটি। তাই বাড়তি কাজের ভারও এসে পড়েছে নিজেদের ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কাজ সামলাতে গিয়ে। তাই এ সময়ে স্বামী-স্ত্রীদের একে উপরের কাজে সহযোগিতা করা উচিত। এতে করে কাজের চাপ একজনের ওপর যেমন কম পড়ে তেমনি কাজ করার পরও একে অন্যের সঙ্গে সময় কাটানো যায়। অন্যদিকে ঘরের কাজ ভাগাভাগি করে করার মাধ্যমেও একজন অন্যজন সম্পর্কে অনেক কিছু জানা সম্ভব।
এ ক্ষেত্রে নিজেদের কাপড় নিজেরা পরিষ্কার করে নেয়া, রান্নার ক্ষেত্রে কাজ ভাগাভাগি করে নেয়া, বাচ্চাকে পড়ানোর ক্ষেত্রে দু’জন মিলে সময় দেয়া, বিকালে নাস্তা বানানোর সময় গল্প করা, ঘর পরিষ্কার করা এমন কাজগুলো একসঙ্গে করা।
এসব কাজ বাদেও ভারি কাজ যেমন ঘর মোছা, সোফা পরিষ্কার করা, মসলা ব্লেন্ড করা, কোনো আসবাবপত্রের জায়গা পরিবর্তন করা এসব কাজেও সহযোগিতা করা। কিছু ব্যতিক্রম কাজও করতে পারেন এ সময়ে। এতে করে নিজেদের মাঝে থাকা বন্ধন আরও দৃঢ় হবে।
যদি আপনি বই পড়তে পছন্দ করেন কিংবা বাসায় বইয়ের শেল্ফ থাকে তা গোছাতে তাকে সাহায্য করা, আলমারিতে কাপড় গুছিয়ে রাখতে তাকে সাহায্য করা, পছন্দের কিছু একসঙ্গে রান্না করা, পছন্দের কোনো সিনেমা একসঙ্গে দেখা, গল্পের বই পড়া, পুরনো বইগুলো ঝেড়েমুছে রাখা কাজগুলোও একে অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করে করতে পারেন।
এতে করে ঘর গোছানো যেমন হয়ে যাচ্ছে তেমনি ভালো একটি সময় দু’জন দু’জনার সঙ্গে কাটাতে পারছেন।
এ ছাড়া কাজের ফাঁকে ফাঁকে কিছুটা সময়ের জন্য চায়ের ব্রেক নিতে পারেন, গান শুনতে পারেন কিংবা গল্প করতে পারেন। এতে করে কাজ করতে বিরক্ত লাগবে না আর হোম কোয়ারেন্টিনের সময়গুলোও আরও ভালো কাটবে।
তাই যতটা সম্ভব একে অন্যকে কাজে সহযোগিতা করার চেষ্টা করুন এতে করে ভালোবাসার বন্ধন যেমন আরও দৃঢ় হবে তেমন একে অন্যেকে আরও কাছ থেকে জানতে পারবেন। সুত্র-যুগান্তর