পৃথিবীতে এমন কোনও দেশ নেই যেখানে টিকটিকি পাওয়া যায় না। প্রায় ৬০০ প্রজাতির টিকটিকি রয়েছে সর্বত্র। টিকটিকি থাকলে অনেকেরই সেটা পছন্দ হয় না। দেওয়ালে-মাটিতে টিকটিকি প্রচুর পরিমাণে ঘুরে বেড়ালে আর যাই হোক, কারোরই খুব পছন্দ হবে বলে মনে হয় না।
টিকটিকি তাড়ানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ঘর বাড়ি পরিষ্কার রাখা ৷ নিয়মিত অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল সলিউশন দিয়ে ঘর মুছুন। জানলা এবং দেওয়াল পরিষ্কার রাখুন। ঘরে উজ্জ্বল আলো টিকটিকি আর অন্য পোকামাকড়কে আকর্ষিত করে তাই প্রয়োজন না থাকলে আলো নিভিয়ে দিন। ডিম লাইট বা হালকা আলো ব্যবহার করতে পারেন।
টিকটিকি উপযুক্ত খাদ্য না পেলে বাড়ি থেকে নিজেই চলে যাবে। তাই বাড়িতে যাতে অন্য পোকা মাকড় না থাকে সে দিকেও খেয়াল রাখুন। বাড়িতে বিড়াল থাকলে সাধারণত সেই বাড়িতে টিকটিকি থাকে না। দেওয়ালে ফাটল ধরলে তা তাড়াতাড়ি বুজিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করুন। বাড়িতে জল জমতে দেবেন না। এবং দেওয়াল থেকে অন্তত ৫ ইঞ্চি দূরে আসবাবপত্র রাখার চেষ্টা করুন। মাটিতে জল বা খাবার পড়ে থাকলে তা তাড়াতাড়ি পরিষ্কার করে ফেলুন।
এছাড়াও উপায় রয়েছে বেশ কয়েকটি। কফি দিয়ে টিকটিকি তাড়ান। এর জন্য লাগবে কফি আর তামাক গুঁড়ো। এই দুটো জিনিস অল্প জলে মিশিয়ে ছোট বলের আকারে গড়ে নিন। যেখানে যেখানে বাড়ির টিকটিকি থাকার সম্ভাবনা সেখানে এই বলগুলি ছড়িয়ে দিন। পাশাপাশি ময়ূরের পালক তো রয়েছেই। যা দেখলে টিকটিকি ভয় পালায়।
পিঁয়াজের কড়া গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না টিকটিকি। এর জন্য পিঁয়াজ কেটে ঘরের বিভিন্ন কোণায়, জানলায় আর দরজার গোড়ায় রেখে দিন। এইভাবে টিকটিকি দূরে থাকবে। পিঁয়াজের ঝাঁঝালো গন্ধ একদমই সহ্য করতে পারে না টিকটিকি। পিঁয়াজের রস আর জল মিশিয়ে সেটা ঘরে স্প্রে-ও করতে পারেন। এছাড়া ন্যাপথলিনের গন্ধও সহ্য করতে পারে না টিকটিকি।
এতগুলো উপায়ের পাশাপাশি টিকটিকি তাড়ানোর আরও একটা ভাল উপায় আছে। সেটা হল তেজপাতা পোড়ানো। একটা তেজপাতা পুড়িয়ে সেই গন্ধ যদি বাড়ির বিভিন্ন কোণায় ছড়িয়ে দিতে পারেন। তাহলেই কেল্লাফতে। নিমেষে পালাবে টিকটিকি। কয়েকদিন তেজপাতা পোড়ালেই তা কাজে দেবে। আর আসবে না টিকটিকি। সূত্র : নিউজ এইটটিন।