গর্ভবতী মায়ের ভাতার টাকা দেওয়ার নাম করে ৪ হাজার ৫’শ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি মেম্বার মিঠুর বিরুদ্ধে। জীবননগর উপজেলার কে.ডি.কে ইউনিয়নের দেহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, সরকারি ভাবে গর্ভবতী মায়েদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করা হলেও সেখানে গর্ভবর্তী মায়েদের নাম দিলেও ইউপি মেম্বার গর্ভবতী মায়ের পরিচয়ে টাকা তুলে নিচ্ছেন। ঘটনাটি এলাকায় টপঅপ দ্যা গ্রামে পরিনত হয়েছে।
গর্ভবর্তী পারভিনা অভিযোগ করে বলেন, আমার নামে মিঠু মেম্বার একটি গর্ভবর্তীর কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে আমার নিকট থেকে ৪ হাজার ৫শ টাকা নিয়ে ছিলো আমি ধান বিক্রি করে তার কাছে টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তুু আমার টাকা না দিয়ে আমার কাগজপত্র জাল করে এবং আমার সন্তানের কাগজপত্র নিয়ে তিনি অন্য পারভিনের নামে টাকা তুলে নিয়েছে।
অফিস থেকে আমাকে যখন টাকার কথা বলে তখন আমি বলি আমি তো কোন টাকা তুলিনি তখন অফিস থেকে আমাকে বলে আপনার নামে টাকা তো তোলা হয়েছে তখন আমি তখন মেম্বারকে বলি তিনি বলেন, তোমার কার্ড জমা দিয়েছি ভাতা হলে তোমাকে বলা হবে।আর ওই বিষয়টি আমি দেখছি এই বলে তিনি চলে যায়।
তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, মিঠু মেম্বারের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ তিনি ক্ষমতাহীন দলের ছত্রছায়ায় থাকায় ইউনিয়নে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে বেড়াই। তা ছাড়া তার ভয়ে কেউ মুখখুলতে সাহস পায় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি অভিযোগ করে বলেন, মিঠু মেম্বার শুধু মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা তুলে নেওয়া নয় সে সরকারি ভাবে বরাদ্ধকৃত ঘরের টাকা, বয়স্কভাতার কার্ড, বিধবা ভাতার কার্ড দেওয়ার নাম করেও টাকা নিয়ে থাকেন। কার্ড কেটে দেওয়া ও তাদের উপর হামলা করার ভয়ে কোন প্রতিবাদ করতে পারে না।
মিঠু মেম্বারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি কোন মাতৃত্বোকালীন ভাতার টাকা তুলিনি এবং কাউকে কার্ড দেওয়ার নাম করে টাকা গ্রহণ করিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। আমি এ বিষয়টি জানি না।
কে.ডি.কে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল বাশার শিপলু বলেন, মাতৃত্বোকালীন ভাতার কাডের টাকার বিষয়টি আমি জানি এমন কি আমার কাছে এখন ও পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি।
যদি কোন ইউপি সদস্য এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকে তা হলে অভিযোগ পেলে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, কে.ডি.কে ইউপি মেম্বার মিঠুর বিরুদ্ধে মাতৃত্বকালীন ভাতা দেওয়ার নাম করে যে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করে নাই।
তাছাড়া সরকার মাতৃত্বকালীন ভাতা বিনা অর্থে দিচ্ছে যদি কেউ টাকা নিয়ে থাকে তা হলে অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলাম বলেন, মাতৃত্বকালীন ভাতা দেওয়ার নামে যদি কেউ টাকা নিয়ে থাকে তা হলে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেপ্র/আরপি