চুয়াডাঙ্গা সদরের ভালাইপুর মোড়ে কাঁচা মালের আড়ৎ পট্টিতে প্রতিদিন বিকাল হলেই চলে মদের মিলন মেলা।
জানাগেছে ভালাইপুর মোড়ে কাচা মালের আড়ৎ পট্টিতে চম্পা রানী ঝাড়ু দারের কাজ করে থাকে। এই সুযোগে প্রতিদিন বিকাল ৫ টার পর থেকে সন্ধার পর পযর্ন্ত ৫০ থেকে ৬০ লিটার মদ বিক্রি করে থাকে, প্রতিলিটার মদের দাম নিয়ে থাকে ৪০০ টাকা, চম্পা রানীর এই মদ খেতে ছুটে আসে বিভিন্ন গ্রাম থেকে ।এই মদ খেয়ে কেউ করছে পাগলামি কেউ করছে মাতলামি,আবার কেউ করছে মারামারি।
আর এই মদ ব্যবসায়ী চম্পা রানী-কে সহযোগীতা করছেন ভালাইপুর মোড়ের আড়তদার এলাকার কয়েকজন দালাল। এদিকে ভালাইপুর মোড়ের বেশ কয়েকজন দোকান দার বলেন শুধু চম্পা রানী ও কয়েকজন মানুষের কারণে ভালাইপুর মোড়ে মদের ছড়াছড়ি আর এই কারণে উঠতি বয়সের কিশোর থেকে শুরু করে বযস্করাও এই মদের নেশাই আসক্ত হয়ে পড়েছে।
মদ কিনতে আসা আলুকদিয়া মনিরাম পুরের পাখি ভ্যান চালক বিল্লা বলেন আমার এক বন্ধু হাতে এক হাজার টাকা দিয়ে বললো ভালাইপুর মোড়ে থেকে চম্পারানীর কাছ থেকে আড়াই লিটার মদ নিয়ে আই ‘ তাই এসচ্ছি, এদিকে গোপিনাথপুরের মদ কিনতে আসা জৈনেক ব্যক্তি বলেন আগে চুয়াডাঙ্গায় মদ খেতে যেতাম এখন ভালাইপুর মোড়ে চম্পা রানীর কাছে সহজেই মদ কিনতে পারি।
তিনি আরও বলেন ভালাইপুর মোড়ে মদ বিক্রির কারণে মানুষ মদের নেশাই আসক্ত বেশি হচ্ছে। যেমন এই মদ কেনার টাকা মেনেজ করতে কেউ বিক্রয় করে জমির বাঁশ কেউ বিক্রয় করে জমির গাছ আবার কেউ বিক্রয় করে জমি। এই ভাবে গ্রামের কিছু কিছু সহজ সরল মানুষ এখন নিঃস্ব পথে পথে ঘুরছে এই চম্পা রানীর মদ খেয়ে। সাংবাদিক দেখে চম্পা রানী দৌড় দেই, ১০ মিনিট পর ফিরে আসলে মদ বিক্রির কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন আমার মদ বিক্রির লাইসেন্স আছে আমার কেউ কিছু করতে পারবে না।
এদিকে ভালাইপুর মোড় বাজার কমিটির সভাপতি হাজী আমির হোসেনের বলেন মদ বিক্রির কারণে ভালাইপুর মোড়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, উঠতি বয়সের ছেলেরা মদে আসক্ত হচ্ছে, বেশ কয়েকবার পদক্ষেপ নিয়েছি কিন্তু দুদিন পর আবার দেখি মদ বিক্রি হচ্ছে।
ভালাইপুর মোড় দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা শান্তি আরও বলেন আমরা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি ভালাইপুর মোড় থেকে মদ বিক্রি বন্ধ করতে পারিনি। তাই এই বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।