চলতি বছরজুড়েই সাইবার হামলার আশঙ্কা রয়েছে। আর এ সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেশি হবে বলে জানিয়েছে সাইবার হামলা নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান চেক পয়েন্ট রিসার্চ (সিপিআর)। সাধারণত যেসব বৈধ সফটওয়্যার দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত হয় সেগুলো সাইবার হামলার লক্ষ্যে থাকবে।
নিরাপত্তা প্রতিবেদন ২০২৩ নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সিপিআর। সেখানে এসব উদ্ধৃত করে তিন ধরনের পর্যবেক্ষণের কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, হ্যাক্টিভিজমের সংখ্যা বাড়বে ২০২৩–এ। হ্যাক্টিভিজম সাধারণত রাজনৈতিক বা সামাজিক কোনো আন্দোলনের জন্য সংগঠিত হয়। ২০২৩ সালে আগের তুলনায় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া হ্যাক্টিভিজম বাড়বে এমন শঙ্কার কথা উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে।
র্যানসমওয়্যার সাইবার হামলা শনাক্ত করা আরও কঠিন হতে পারে চলতি বছর। এনক্রিপশন কার্যকলাপ শনাক্ত করার ওপর নির্ভর করে বিদ্যমান সুরক্ষা প্রক্রিয়া কম কার্যকর হবে। এ ছাড়া হ্যাকাররা তথ্য মুছে ফেলা এবং এক্সফিলট্রেশনের (ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর প্রোগ্রামের মাধ্যমে কম্পিউটারে সিস্টেম অনুপ্রবেশ করে তথ্য স্থানান্তর করা) ওপর নজর দেবে।
ক্লাউডভিত্তিক নেটওয়ার্কের ওপর সাইবার আক্রমণের ঘটনা বাড়বে। নিজস্ব সার্ভার বা সিস্টেম থেকে ক্লাউডে তথ্য রাখার প্রবণতা সাইবার অপরাধীদের আক্রমণের জন্য বিস্তৃত পরিসর তৈরি করেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। যেসব বৈধ প্রোগ্রাম কম্পিউটারে বা নেটওয়ার্ক সিস্টেমে সেগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালাবে অপরাধীরা। এরই মধ্যে চ্যাটজিপিটিতে রুশ সাইবার অপরাধীদের আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে আগের বছরের তুলনায় সাইবার হামলার ঘটনা বেড়েছিল ৩৮ শতাংশ। এবার হামলার আশঙ্কা আরও বেশি।
সূত্র: গ্যাজেটস নাউ