চিকেন পক্সে এক সময় অনেক মানুষের মৃত্যু হতো। ছোঁয়াচে এ রোগ সারা বছর দেখা গেলেও বসন্তের শুরুতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। চিকেন পক্স অত্যন্ত ছোঁয়াচে রোগ। ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ, হাঁচি-কাশি এবং ব্যবহৃত জিনিসপত্রের মাধ্যমেই এটি বেশি ছড়ায়।
এ রোগে আক্রান্ত হলে আলাদা একটি ঘরে রাখা উচিত। ব্যবহৃত পোশাক, গামছা যাতে অন্য কেউ ব্যবহার না করে সেদিকে খেয়াল রাখুন। পক্স ভালো হয়ে গেলেও ব্যবহৃত সব কাপড়-চোপড়, বিছানার চাদর, তোয়ালে গরম পানি এবং স্যাভলন দিয়ে ধুয়ে দিন।
সাধারণত ভাইরাস সংক্রমণের ১০ থেকে ২১ দিন পর শরীরে চিকেন পক্সের লক্ষণ দেখা দেয়।
আসুন জেনে নেই চিকেন পক্স প্রতিরোধ করবে যেসব খাবার-
বিশেষজ্ঞদের মতে, চিকেন পক্স থেকে বাঁচতে হলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদের রস খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এছাড়া যেকোন ধরনের সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করতে শরীর উপযোগী হয়।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, এ সময় প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার পেঁয়াজ, কলা, রসুন খেতে পারেন।
পুষ্টিবিদরা জানান, চিকেন পক্সে আক্রান্তরা এক চামচ মধুর সঙ্গে গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে খেতে পারেন। পক্স হলে শরীরে পানির চাহিদা দেখা দেয়। তাই আর্দ্রতা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। ফলের জুস, বাটার-দুধ, লাচ্ছি এবং স্যুপ খেতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সময় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি অ্যান্টব্যাকটেরিয়াল সমৃদ্ধ কাঁচা পেঁপে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিম্যালারিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল সমৃদ্ধ নিম পাতা চিকেন পক্স নিরাময়ে খুব ভালো কাজ করে। তাজা নিম পাতার রস খেলে উপকার পাওয়া যায়। নিম সিদ্ধ পানি দিয়ে রোগীকে গোসল করাতে হবে।
রোগী মাছ-মাংস, ডিম-দুধ সবই খাবে। পুষ্টিকর খাবার খেলে রোগ আরোগ্য সহজ হবে।
চুলকানির জন্য এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ এবং যাতে অন্য কোনো ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ না ঘটে সেজন্য অ্যান্টিস্যাপ্টিক দেয়া যেতে পারে। জ্বর, গা ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল এবং সারা শরীরে লোপিও ক্যালাসিন লোশন লাগানো যায়।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
মেপ্র/আরজেএম