৫দিনের মাথায় চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর অঞ্জলী রানী হত্যাকান্ডের মূলরহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে। উদ্ধার হয়েছে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা।
চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার গণেশ প্রামানিকের স্ত্রী অঞ্জলী রানী (৫০) কে রবিবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৮ হতে বেলা ১১টার মধ্যে যেকোন সময় আসামী ধারালো অস্ত্রদিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে।
এরপর তার বসতঘরের সাব-বাক্স এ রক্ষিত স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার প্রেক্ষিতে অঞ্জলী রানীর ভাই অশোক কুমার বিশ্বাসের অভিযোগের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হত্যা মামলা রুজু হয়।
ঘটনার পর সংবাদ পেয়ে পুলিশ সুপার, খন্দকার গোলাম মওলা ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। পুলিশ সুপার তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার মূলরহস্য উদঘাটনসহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামীকে গ্রেপ্তারের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামানের নেতৃত্বে সদর থানা, সাইবার ক্রাইম, গোয়েন্দা শাখা ও সিআইডির একাধিক টিম ঘটনার মূলরহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত আসামীকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে মাঠে নামে।
অবশেষে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল (জেলা গোয়েন্দা শাখা), চুয়াডাঙ্গার চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু থানার শিংগা গ্রাম থেকে আসামীর শ্বশুর মুস্তাক মন্ডল এর বাড়ী হতে আসমামী ওয়াদুদ ওরফে ওদু মন্ডল (৩০) গ্রেপ্তার করে।
এ সময় স্বর্ণের একটি নেকলেস, ৩টি স্বর্ণের পলা, স্বর্ণের কানের দুল ৪টি, স্বর্ণের রিং কানের দুল ১টি, রুপার নুপুর ২টি এবং নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। ওদু মন্ডল দৌলতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার মৃত সুবাদ মন্ডলের ছেলে।
অঞ্জলী রানীকে হত্যাকান্ডের বিষয়ে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আসামী অকপটে হত্যার বর্ণনা প্রদান করে। আসামীর হেফাজতে থাকা অঞ্জলী রানীর ব্যবহৃত স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা বের করে দেয়। ঘটনার বিষয়ে আসামী স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।