চুয়াডাঙ্গায় দিন দিন বেড়েই চলেছে ভয়াবহ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে একজন ভারত ফেরত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.এ এস এম ফতেহ্ আকরাম।
এ সময় তিনি বলেন আলমডাঙ্গার সাকিব উদ্দিন গত ৯ মে বেনাপোন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসেন। ১০ তারিখে বেলা আড়াইটার দিকে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১১ তারিখে নমুনা সংগ্রহ করা হলে ১২ তারিখে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। ২১ মে শুক্রবার হাসপাতালের রেড জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সাকিব উদ্দিন। ক্যান্সারে আক্রান্তের কারণে তাকে চিকিৎসার জন্য তাকে ভারতে নেয়া হয়েছিল।
এছাড়াও চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার মদনা গ্রামের আবুল হোসেনকে জ্বর, ঠান্ডা ও স্বাসকষ্ট নিয়ে গত ১৫ মে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়। ১৬ তারিখে নমুনা সংগ্রহ করা হলে পরদিন ১৭ মে নমুনা সংগ্রহের রিপোর্ট পজেটিভ আসে। ওইদিনই আবুল হোসেনকে রাখা হয় হাসপাতালের রেডজোনে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোর ৪ টার দিকে মারা যায়।স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তাদের দাফণকার্য সম্পন্ন করা হবে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান জানান, গতকাল ২৪ ঘন্টায় চুয়াডাঙ্গার ৪ উপজেলা থেকে মোট ২১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় কোন ফলাফল আসে ৩৪ জনের যার মধ্যে ৩ জন করোনা আক্রান্ত। আক্রান্তদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ১ জন এবং জীবননগর উপজেলার ২ জন বাসিন্দা।
এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ১ হাজার ৯শ’ ১০ জন। সুস্থ্য হয়েছে ১ হাজার ৭শ’ ৯৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে আছে ১০ জন ও হোম আইসোলেশনে আছে ৪৬ জন এবং রেফার্ড আছে ১ জন।