চুয়াডাঙ্গা খাড়াগোদার বাজারে আ.লীগ ও যুবলীগের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আহতদের মধ্য আ.লীগ নেতা লিটনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মামলার প্রস্তুতি নিয়েছে বলে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ জানিয়েছেন।
একদিকে করোনা অপর দিকে মাহে রমজানের পবিত্র মাস আ.লীগ-যুবলীগ নেতাদের এহন কর্মকাণ্ডকে ধিক্কার জানিয়েছে সচেতন মহল। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত গড়াইটুপি ইউনিয়নের গাষ্টবিহার গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে গড়াইটুপি ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি রাশেদুজ্জামান পলাশের বোন জুই গত দেড়মাস আগে ঝিনাইদহ গোপালপুর গ্রামে বিয়ে হয়। বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় জুই নিজ গ্রামের ভাটার ছেলে মুকুল হাসানের হাত ধরে পালানোর চেষ্টা করে।
সে সময় দর্শনা পুলিশ তাদরকে ডাকবাংলা বাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করে উভয় পক্ষের পরিবারের হাতে তুলে দেয়। গতপরশু বহস্পতিবার মুকুল পুনরায় ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটায়। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫টার দিক গড়াইটুপি গ্রামের আ.লতিবের ছেলে রানা পলাশের পক্ষ নিয়ে গাষ্টবিহার গ্রামের তাহাজ উদ্দিনের ছেলে গড়াইটুপি ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি লিটনকে চড় থাপ্পড় মারে।
কিছুক্ষনের মধ্যেই লিটন এর গায় হাত পড়েছে জানতে পেরে তিতুদহ ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি শুকুর আলী ও লিটন দলবল নিয়ে খাড়াগোদা বাজারের শিমুলের ০েদাকানের সামনে গিয়ে পলাশ ও তার ভাই শিমুলের ওপর চড়াও হয়। একপর্যায় সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষ। যার হাতে যা থাকে তাই দিয়ে একে অপরকে মারপিট করতে থাকে।
এই ঘটনায় আহত হয় শুকুর পক্ষের লিটন, রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে ঝন্টু, ছয়রদ্দিনের ছেলে আহাদ আলী। পলাশ পক্ষের আহত হয় পলাশ ও তার ভাই শিমুল এবং রসূলের ছেলে হাবিবুর রহমান। যুবলীগের সভাপতি পলাশ অভিযোগ করে বলেন, আমার বোনের সংসার ভাঙ্গা নিয়ে মুকুলকে সেল্টার দিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে লিটন। বোনকে নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেললে কারোর মাথায় ঠিক থাকার কথা না। শুকুর ও তার লোকজন আমাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালিয়েছে।
অপর দিক লিটনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পলাশ মিথ্যা সন্দেহ করে তার লোকজন দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে লিটনের ওপর হামলা চালায়। গড়াইটুপি ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, পলাশের বোনকে নিয়েই মূলত এ ঘটনা। শুকুর আলী পলাশের কাছে লিটনের মারার ব্যাপার জানতে গেলে পলাশের লোকজন ক্ষিপ্ত হয় হাসুয়া রামদা দিয়ে লিটন ও তার লোকজনকে কুপিয়ে যখম করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনলেও উভয় পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে, দামুড়হুদা চিৎলা হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আহতদের মধ্য লিটনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিয়েছে বলে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমান জানিয়ছেন।