চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামে অস্টম শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার ও শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে ভুক্তভোগি পরিবার। মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই ছাত্রীর পিতা। সংবাদ সম্মেলনের পর চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্বপরিবারে উপস্থিত হয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে তাঁরা। এ সময় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের পক্ষে স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন নেজারত ডেপুটি কালেক্টর আমজাদ হোসেন। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।
এদিকে, সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ও জেলা প্রশাসক বরাবর দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, গত ২৬ এপ্রিল বিকেলে জীবননগর কুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আল মামুন নিজ বাড়িতে প্রাইভেট পড়ানোর একফাঁকে কৌশলে ওই ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ঘটনার কথা প্রকাশ করলে প্রাণনাশের হুমকী দেয়। ওই ছাত্রী বাড়ি এসে তার মাকে ঘটনা জানায়। এরপর জীবননগর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় আসামী আল মামুন জামিনে মুক্তি পেয়ে বর্তমানে প্রাণনাশের হুমকী দিচ্ছে ওই পরিবারটিকে।
পরিবারটি আরো অভিযোগ করে, ওই মামলার স্বাক্ষিগণকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে ধর্ষক আল মামুন। এমনকি স্বাক্ষিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা জিডি পর্যন্ত করেছে। বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগী পরিবারের ওপরে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেওয়ার অভিযোগ করে ওই ছাত্রির পিতার স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যে ও জেলা প্রশাসক বরাবর দেওয়া স্মারকলিপিতে আরো অভিযোগ করা হয়, ভিকটিমের এম.সি রিপোর্ট চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ১৩৬৪ নং স্মারকে থানার উদ্দেশ্যে ছাড়ার ঘটনা থানা কতৃপক্ষ অস্বিকার করছে। পরে আবার নতুন করে ভিকটিম ও ভিকটিমের বাবাকে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যেয়ে জোর করে টিপ সইসহ স্বাক্ষর করে নিয়েছে। এভাবে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে তাঁদেরকে। ক্ষতিগ্রস্থা পরিবার মামলার আসামীর বিরুদ্ধে সুষ্ঠ বিচার ও শাস্তির দাবি করেছেন।