চতুর্থবারের মত (আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গা)-১ আসনে এমপি হবার লক্ষ্যে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়াদ্দার ছেলুন। এবার বিদ্রোহী দল বিএনপি নির্বাচনে না আসায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের মধ্যে গ্রুপভিত্তিক একাধিক নেতা-কর্মীরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছে।
বিগত নির্বাচনে ৩/৪ জন ফরম সংগ্রহ করলেও এবার নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকার আশায় ১৬ জন মনোনয়ন পত্র তুলেছেন। এর মধ্যে ব্যবসায়ী, চিকিৎসকও রয়েছে।
প্রার্থীরা হলেন- ৪র্থ বার মনোনয়ন ফরম তুলেছেন (আলমডাঙ্গা- চুয়াডাঙ্গা)-১ আসনের বর্তমান সাংসদ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এমএ রাজ্জাক খান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম মেম্বার শেখ সামসুল আবেদীন খোকন, জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক সংরক্ষিত আসনের এমপি শিরিন নাঈম পুনম, চুয়াডাঙ্গা আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভীন, ঢাকা মহানগর উত্তরের স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম কামরুজ্জামান সুমন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য জুবায়ের আহমেদ সাব্বির, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মাহবুব হোসেন মেহেদী, বাংলাদেশ কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক নাজমুল হক পানু, চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহবায়ক ওবাইদ্রু রহমান চৌধুরী জিপু, আলমডাঙ্গার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা জেমস অলোক চৌধুরী।
বর্তমান সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়াদ্দার ছেলুনের বরাত দিয়ে নেতা-কর্মীরা জানান, একটানা ৩য় বারের মত চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। আবারো ৪র্থ বার নৌকা পাবার আশায় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তার দায়িত্বপালনে এ অঞ্চলে উন্নয়নে ব্যাপক ভুমিকা রেখেছেন। চিকিৎসা, শিক্ষা ও সড়ক পথগুলো আমূল পরিবর্তন হয়েছে। ভিক্ষুক মুক্ত জেলার পাশাপাশি শতভাগ ভুমিহীনদের সরকারি জায়গা ও ঘর বরাদ্দ দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষসহ শিশুদের হুইল চেয়ার দিয়েছি। বিভিন্ন মসজিদ, মন্দিরে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি অস্বচ্ছল মানুষের সহযোগীতা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের উন্নয়নমূলক প্রচারণা করা হচ্ছে। দলীয় মনোনয়ন পেলে এজেলাকে স্মার্ট (আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গা) গড়ে তুলবো।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম মেম্বার শেখ সামসুল আবেদীন খোকন জানান, দীর্ঘদিন প্রার্থী হতে তৃণমূল নেতাদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালায়। বিভিন্ন এলাকায় সভা করছেন এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীকে নানাভাবে সহযোগিতা করছেন। তিনি বলেন, দলে কোনো গ্রুপিং নেই। যেহেতু দলের অনেকে এমপি প্রার্থী হতে চান, তাই সরকারের উন্নয়নকাজের প্রচার পৃথকভাবে করা হয়। দল যাঁকেই মনোনয়ন দেবে, তাঁর পক্ষেই সবাই কাজ করবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহবায়ক ওবাইদ্রু রহমান চৌধুরী জিপু তিনিও কার্যক্রম চালাচ্ছেন পৃথকভাবে। মনোনয়ন ফরম কিনেছেন । তবে তিনি বলছেন, দলে একাধিক নেতা-কর্মীরা মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মাহবুব হোসেন মেহেদীও দলের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করছেন। দল এর মূল্যায়ন নিশ্চয়ই করবে। ইতিপূর্বেও তিনি দলের মনোনয়ন চেয়েছেন।
আলমডাঙ্গার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন নিজের একটি বলয় নিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি এবার প্রথম দলের মনোনয়ন চাইছেন।