চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহের আড়িয়া গ্রামে নির্বাচন পরবর্তী আনারস সমর্থকের বাড়িতে দুষ্কৃতকারিরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে উভয়পক্ষের মহিলাসহ ৬ জন রক্তাক্ত জখম হয়েছে । এ ঘটনায় গ্রামবাসি মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে ২ জনকে আটকপূর্বক উত্তম-মধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
আহতদের মধ্যে জাহাঙ্গীর, আওলাদ ও শামীমের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দর্শনা থানা ও তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আড়িয়া গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৭ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পূর্ব থেকে নৌকা ও আনারস প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছিলো।
তার জেরধরে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিতুদহ গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার ১০-১৫ জন উশৃংখল যুবক দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মোটরসাইকেল ও আলমসাধুতে করে আড়িয়া গ্রামের বসুতিপাড়া গিয়ে মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীরের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারিরা জাহাঙ্গীরকে (৫০) হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে জখম ও স্ত্রী মমতাজ বেগম (৪৫), ভাই আওলাদ হোসেন (৫৫) ও আহাদ আলীর ছেলে শিমুল হোসেনকে (১৮) লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। একপর্যায় গ্রামের লোকজন হামলাকারিদের ধাওয়া করে এবং তিতুদহের হাতেমের ছেলে হোসেন আলী (৫০) ও আছেরদ্দিনের ছেলে শামীমকে (৩০) আটক করে বেধড়ক মারপিট করে।
খবর পেয়ে দর্শনা থানাপুলিশ ও তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন এবং আটককৃত হোসেন ও শামীমকে হেফাজতে নেন। আহতদের মধ্যে জাহাঙ্গীর, শিমুল, হোসেন আলী ও শামীমের অবস্থাগুরুত্বর হওয়ায় তাদেরকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার কুদরত এ খোদা বলেন, জাহাঙ্গীরের সেলাই পড়েছে ২০-২৫টি, হোসেনের মাথায় সেলাই পড়েছে ১০-১৫টি। হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বোমি হলে রেফার্ড করা লাগতে পারে। গ্রামবাসি জানায় হামলাকারিরা পরিকল্পিতভাবে প্রস্তুতি নিয়ে এক গ্রাম থেকে অন্যগ্রামে এসে হালাচালিয়েছে। হামলাকারিদের ২টি মোটরসাইকেল ও একটি আলমসাধু আটক করে পুলিশের নিকট হস্থান্তর করেছে।
তিতুদহ ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি শুকুর আলী বলেন, আমার দলে কোন উশৃংখ লোকজনের জায়গা নেই। যদি কেউ এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তার নিন্দা জানায়। এদিকে জাহাঙ্গীরের ভাই আওলাদ হোসেন বলেন, হামলাকারিদের হামলায় অনেকেই আহত হয়েছে। যারা প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আছে।
দর্শনার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি লুৎফুল কবির বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ৪-৫টি হাসুয়া উর্দ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।