চুয়াডাঙ্গা দর্শনা থানাধীন নাস্তিপুর গ্রামস্থ আসামী মোঃ তানভির হোসেন কাকনের বসতঘরের শয়ন কক্ষে ছয় বছরের শিশুকে কৌশলে ডেকে নিয়ে ঘরের ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনার বিষয়ে তার পরিবারকে জানালে আত্মীয়-স্বজন চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসাপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। ঘটনার বিষয়ে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে দর্শনা থানার মামলা নং-১৯, ২৬শে জুন ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধীত ২০০৩) এর ৯(১) রুজু করেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুনের দিকনির্দেশনায় দামুড়হুদা সার্কেল এএসপি জাকিয়া সুলতানার সহযোগিতায় এবং অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফেরদৌস ওয়াহিদ ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এস. এম. আমান উল্লাহর নেতৃত্বে ধর্ষণ মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতারের লক্ষ্যে দর্শনা থানা এবং চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশের একাধিক টিম তাৎক্ষণিকভাবে মাঠে নামে।
মামলা রুজুর ২৪ ঘন্টা পার হতেই দর্শনা থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার বিভিন্ন পারিপার্শ্বিকতা ও স্বাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত আসামী মোঃ তানভির হোসেন কাকন (২১)-কে ঝিনাইদহ জেলার ঝিনাইদহ বাস টার্মিনাল হতে শনিবার সকাল সাড়ে পাঁচটার সময় গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষনের কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে।
আসামী ঘটনার দিন ২২শে জুন বেলা বারোটার সময় ছয় বছরের শিশু ভিকটিমকে মোবাইলে গেমস্ দেখানোর নাম করে আসামীর বসতঘরের শয়ন কক্ষে নিয়ে ঘরের ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শনিবার সকাল দশ টার সময় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন এই সকল তথ্য নিশ্চিত করেন ।