চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার বেগমপুরের নেহালপুরে রাজু আহম্মেদ নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে দর্শনা থানা পুলিশ। গতকাল বুধবার বেলা ১১ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর পশ্চিমপাড়ার একটি বাঁশ বাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এসময় তার প্যান্টের পকেট থেকে উদ্ধার করা হয় পলিথিনের প্যাকেটে মোড়ানো ফুরাডান কীটনাশকের বোতল। নিহত রাজু আহম্মেদ (২৪) একই এলাকার দাউদ হোসেন ফকিরের ছেলে।
তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পরিবার সুত্রে জানাগেছে,
রাজু আহম্মেদ পেশায় একজন কাঠ মিস্ত্রী। সে একজন মানুষিক ভারসাম্যহীন রোগী। সে প্রায়,প্রায় বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় এবং বাড়িও ফিরে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার বিকালের দিকে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে তার সন্ধান করতে থাকি। সে সারারাত পেরিয়ে গেলেও বাড়িতে না ফেরায় চিন্তায় পড়ে যায়। সকাল ৮টার দিকে বাড়ির সামনে (১০০ গজ দূরে) জলিল মাষ্টারের বাঁশ বাগানের মধ্যে মৃতবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। এরপর তার বাড়ির লোকজনকে খবর দেওয়া হলে তারা ঘটনাস্থলে পৌছে ছেলের লাশ পড়ে থাকতে দেখে। এরপর থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতর সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
রাজুর স্ত্রী রুশিয়া খাতুন জানান, আমার স্বামী আমাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় আমি আমার ৩ বছর বয়সী মেয়ে রিয়া খাতুনকে নিয়ে ৪ মাস যাবত ধরে আমার বাবার বাড়ি দামুড়হুদা উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামে বসবাস করি। মাঝে মধ্যে আমার শ্বশুর বাড়ি যায় স্বামীর খোঁজ নিতে।
দর্শনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শামসুদ্দোহা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং রাজু আহম্মেদের লাশ উদ্ধার করি। তার পকেট থেকে উদ্ধার করা হয় পলিথিনের প্যাকেটে মোড়ানো ফুরাডান কীটনাশক। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রাজু আহম্মেদ আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।