স্বপ্নভঙ্গ হতে বসেছে চুয়াডাঙ্গা কর্মরত সেচ্ছাসেবক মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের। করোনা মোকাবিলায় সম্মুখযোদ্ধা চিকিৎসকদের কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করেও বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। কর্মরতদের অনেকের স্বপ্ন ছিলো ঝুঁকিপূর্ণ এ কাজে আত্মনিয়োগ করলে সরকারীভাবেই তারা স্বীকৃতি পাবেন। কিন্তু সে স্বপ্ন এখন ভেঙে যেতে বসেছে।
সম্প্রতি সরকারিভাবে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের ক্ষেত্রে চুয়াডাঙ্গার কোনো সেচ্ছাসবকই এতে স্থান পাননি। এতে তাদের মধ্যে চাপা অসন্তোষ দেখা গেছে।
করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে করোনা মোকাবিলার জন্য সারাদেশের মেডিকেল টেকনোরজিস্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয় সরকারিভাবে। সে সময় চুয়াডাঙ্গার অনেক যুবক-যুবতী সেচ্ছাসেবক মেডিকেল টেকনোলজিস্ট হিসেবে নিজেদের নাম লেখান। তাদের মধ্যে আবার অনেকেই স্বপ্ন দেখেন ভবিষ্যতে এ পদে নিয়োগ পাওয়ার। কিন্তু সম্প্রতি সারাদেশে এ পদে যে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাতে চুয়াডাঙ্গার দু’যুবক সুযোগ পেয়েছেন।
তবে সেচ্ছাসেবক মেডিকেল টেকনোলজিস্ট হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্তদের মধ্যে অনেকের অভিমত তাদের মধ্যে থেকে কেউ নিয়োগ পেলে তারা খুশি হতেন। নিয়োগপ্রাপ্তরা কেউই সেচ্ছাসেবক ছিলেন না।
মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের করোনা স্যাম্পল সংগ্রহ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সেচ্ছাসেবক মেডিকেল টেকনোলজিস্ট হিসেবে জাহানারা খাতুন, সাজেদুর রহমান ও হাসানুজ্জামান নামে তিনজন দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা গত ১৪ এপ্রিল থেকে এ দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) আমজাদুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন পূর্বে সরকারিভাবে কর্মরত সেচ্ছাসেবক মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নামের তালিকা চাওয়া হয়েছিলো। আমাদের এখানে ১৬ জন সেচ্ছসেবক তালিকাভূক্ত আছেন। আমরা তাদের নামের তালিকা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছিলাম। তারা নিয়মিতই তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।