চুয়াডাঙ্গায় আইনজীবী ও জজশীপের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ বজলুর রহমান, জজ আদালতের পেশকার নূরুল ইসলাম এবং সেরেস্তাদার সহকারি জহুরুল ইসলামকে প্রত্যাহারের দাবী তুলে আদালত বর্জণের ঘোষণা দিয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতি। জজশীপের নাজির পদে দু’জনের পদায়ন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সম্প্রতি বিদায়ী জেলা জজ আলাদা দুটি আদেশে পেশকার নূরুল ইসলাম এবং সেরেস্তাদার সহকারি জহুরুল ইসলামকে নাজির পদে পদায়নের সুপারিশ করেন। একই পদে দু’জনের পদায়নে সৃষ্ট জটিলতার বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ বজলুর রহমানের সাথে কথা বলতে যান আইনজীবী সমিতির নেতারা। এসময় জজশীপের কর্মচারীদের সাথে বাকবিতন্ডা হয় আইনজীবীদের। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর জেলা আইনজীবী সমিতি জরুরী সভায় বসে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন জানান, ‘সুষ্ঠু সমাধানের জন্য বিচারকের কাছে গেলে আদালতের কর্মচারীরা লাঠিশোটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে দু’জন আইনজীবী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আইনজীবীরা আদালত বর্জণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
চীফ জুডিশিয়াল আদালতের নাজির ওসমান গণি বলেন, বিচারকের কার্যালয়ে আইনজীবীরা ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন। এ সময় তারা বিচারকের টেবিলে ভাঙচুর চালায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ খান জানান, আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইনজীবীদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।