চুয়াডাঙ্গায় এসএসসি-২০২৩ এর জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১শ জন কৃর্তী শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪২ জন গুণি শিক্ষককে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির আয়োজনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিলো দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকা।
আজ সকাল সাড়ে নয়টা থেকেই চেম্বার অব কর্মাস মিলনায়তনে আসতে শুরু করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কৃর্তী শিক্ষার্থীরা। সেই সাথে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র থেকে জুনিয়র ৪২ জন গুণী শিক্ষকের আগমন। একই স্থান যেন মেধাবী আর গুণীদের সমারোহে ভরা। বিশেষ করে কৃর্তী শিক্ষার্থী ও গুণিজন সম্মননা অনুষ্ঠানে অতিথিও যখন চুয়াডাঙ্গার কৃর্তী সন্তান প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, গুণী শিক্ষক ও সমাজের দর্পণ স্বরুপ গণমাধ্যম ব্যক্তিরা তখন অনুষ্ঠান নিসন্দেহে দারুণ হবারই কথা।
এ আয়োজনে অনলাইন গুগল মিটের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে অতিথি হিসেবে কৃর্তী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য রাখেন এনআরবি ওয়ার্ল্ডেও প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুরের (বিডিচ্যাম) প্রেসিডেন্ট, সাহিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার প্রধান পৃষ্ঠপোষক আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিক।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সভাপতি ও দৈনিক সময়ের সমীকরণ এর প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান কচি, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মাহমুদুল হাসান সুমন, এনসিটিএফ এর সাবেক সংগঠক, দৈনিক সময়ের সমীকরণ’র স্টাফ রিপোর্টার ও আজকের পত্রিকার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি মেহেরাব্বিন সানভী।
এনসিটিএফ চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির সভাপতি রওনাক সামিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সাংবাদিক শাহ আলম সনি, রিফাত রহমান, মাহফুজ মামুন, খায়রুল ইসলাম, হুসাইন মালিক, কামরুজ্জামান সেলিম, মফিজ জোয়ার্দ্দার, আহসান আলম, সাইফ জাহান, সাকিব বিশ্বাস, সাকিব আল হাসান, দেশ সেরা কৃষাণী ও তরুণ উদ্যোক্তা মেরিনা জামান মমি, অনুশীলনের পরিচালক তৌফিক শুভ ও মাফরাফি মতুর্জা প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এনসিটিএফ চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির শিশু গবেষক লামিয়া তাসফিয়া রজনির প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনসিটিএফ শিশু গবেষক ওমায়ের হাসান ও সাবেক শিশু সাংবাদিক কামরুল ইসলাম অপু প্রমুখ। কৃর্তী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রী ফারহানা আক্তার শোভা।
অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে এনআরবি ওয়ার্ল্ডেও প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুরের (বিডিচ্যাম) প্রেসিডেন্ট, সাহিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার প্রধান পৃষ্ঠপোষক আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিক বলেন, তোমরা যারা সবে এসএসসি পাশ করেছো, কলেজে যাবা, অনেকেই মনে করতে পারো এবার আমাদের কাজ শেষ। প্রথম যখন একজন শিক্ষার্থী কলেজে যায়, তার মনে হয় এবার বড় হয়ে গেছি। অনুভূতি গুলো এমন হয় যেন, নিজেদের ভালো নিজেরাই বুঝতে শিখেছি। ১৯৮৪ সালে আমি এসএসসি পাশ করেছিলাম। আমারও এমনটাই মনে হয়েছিলো। কিন্তু কলেজে যাওয়া মানে জীবনের একটি ধাপ পার করে নতুন একটি ধাপে পদার্পণ মাত্র। যখন তোমরা প্রথম কলেজে যাবে, শপথ নিতে হবে, আমি এগিয়ে যেতে চাই। প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে একটা পাউয়ার (ক্ষমতা) আছে। কেউ কাজে লাগায়, কেউ লাগায় না। তোমরা যদি মনে করো, সে যদি পারে, আমি কেন পারবো না? নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সেই পাউয়ারকে কাজে লাগিয়ে পরিশ্রম করো, ঠিকই ফল পাবে। শুধু নিজের জন্য নয়, পরিবার, দেশ এবং জাতীর জন্য কাজ করার ইচ্ছা মনের মধ্যে থাকতে হবে। সেই ইচ্ছায় একদিন তোমাদেরকে সাফল্য এনে দেবে।
বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ বলেন, আগামীতে তোমরাই দেশের নেতৃত্ব দিবে। সারা দেশের মধ্যে বিশেষ ভাবে চুয়াডাঙ্গাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা জেলার চার উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ জন কৃর্তী শিক্ষার্থী ও ৪২ জন গুণি শিক্ষককের হাতে সম্মননা স্মারক তুলে দেন অতিথিরা।