চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামটুর গ্রামের এক পরকীয়া জুটি বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ননদাইয়ের সাথে শ্যালকের স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে বুধবার সন্ধ্যায় গ্রামের মাঠে ভুট্টাক্ষতে গিয়ে তারা বিষপান করেন। দুজনকে উদ্ধার করে নেয়া হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। পরকীয়া প্রেমিক মো. সাগর (২৭) ও পেমিকা রাশিদা খাতুন (২২) হাসপাতালের দু’ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, দামুড়হুদার জয়রামপুর চৌধুরীপাড়ার আবদুল খালেকের ছেলে ট্রাক হেলপার মো. সাগর বছর দশেক আগে একই গ্রামে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে রয়েছে ৭ বছরের এক ছেলে। অপরদিকে, সাগরের মামাতো শ্যালক মামুন বছর ছয়েক আগে বিয়ে করেন একই উপজেলার উজিরপুর গ্রামের আছের আলীর মেয়ে রাশিদাকে। তাদেরও রয়েছে ৫ বছরের এক ছেলে ও তিন বছরের এক মেয়ে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই রাশিদার সখ্য গড়ে ওঠে ননদাই সাগরের সাথে।
একপর্যায়ে তা পরকীয়া সম্পর্কে গড়ায়। বিষয়টি জানাজানি হলে দুই পরিবারের পক্ষ থেকেই তাদের সোধরানোর জন্য বলা হয়। কিন্তু অনড় অবস্থানে থাকা সাগর-রাশিদা জুটি তাদের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি। সম্প্রতি শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপেরবাড়িও চলে যায় রাশিদা।
বুধবার মোবাইলফোনে যোগাযোগের পর সন্ধ্যায় জয়রামপুর গ্রামের মাঠে যান পরকীয়া জুটি সাগর ও রাশিদা। সেখানেই তারা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে দুজনে একসাথে বিষপান করেন।
এসময় তারা কাফন কেনার জন্য মোবাইলফোনে স্বজনদেরকে জানান। খবর পেয়ে নিকটাত্মীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাগর বলেছেন, মামাতো শ্যালক মামুনের স্ত্রী রাশিদার সাথে আমার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে পরিবারের লোকজন খুব অশান্তি করে। ফলে আমরা দুজনে সিদ্ধান্ত নিই একসাথে আত্মহত্যা করব।
রাশিদা খাতুন বলেছেন, বছর চারেক ধরে সাগরকে নিয়ে আমার পরিবারে অশান্তি চলছে। সাগরের সাথে আমার শুধু ননদাইয়ের মতোই সম্পর্ক। কিন্তু সাগরের সাথে আমার পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে বলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই নির্যাতন করে। দু’মাস আগে আমি বাপের বাড়ি চলে যাই।
সপ্তাহখানেক শ্বশুরবাড়ি গিয়ে ৩-৪ দিনও থাকতে পারিনি। অবশেষে সাগরের সাথে মোবাইলে কথা বলে বুধবার সন্ধ্যার পর আবারও জয়রামপুরে যাই। রাতে গ্রামের মাঠে গিয়ে দুজনে একসাথে বিষপান করি।