চুয়াডাঙ্গায় মানবিক কাজের পাশাপাশি সকল ধরনের মানুষের বিপদে-আপদে কাজ করে যাচ্ছেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম।
এরইমধ্যে চুয়াডাঙ্গায় মানবিক পুলিশ সুপার নামে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে পুরো চুয়াডাঙ্গা জেলার মানুষের মাঝে। পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি মানবিক কাজে এগিয়ে আসার জন্য সুনাম অর্জন করেছেন তিনি।
১১ ই মে বেলা সাড়ে বারোটার সময় পুলিশ সুপারের মধ্যস্থতায় মোছাঃ ববিতা খাতুন, ফিরে পেল তার সুখের সংসার, আরিয়ান ফিরে পেল পিতৃ স্নেহ। মোছাঃ ববিতা খাতুন (২৮), পিতা- মোঃ রমজান আলী, সাং-ভাংবাড়ীয়া, থানা- আলমডাঙ্গা, জেলা- চুয়াডাঙ্গা এর সাথে অনুমান ১২ বছর পূর্বে মোঃ আশাবুল ইসলাম (৩০), পিতা-ছুরালী মন্ডল, সাং-ভাংবাড়ীয়া মন্ডল পাড়া, থানা-আলমডাঙ্গা, জেলা- চুয়াডাঙ্গা এর ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয়। তাদের সংসার জীবনে আরিয়ান (০৬) নামের ফুটফুটে একটি সন্তান রয়েছে।
বিয়ের কয়েক বছর পর হতে যৌতুকের দাবিতে মোঃ আশাবুল তার স্ত্রী ববিতা খাতুনের সাথে পারিবারিক কলহে জড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে আশাবুল ববিতা খাতুনকে শরিরীক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। ইতোমধ্যে ববিতা খাতুন যৌতুক দিতে ব্যার্থ হওয়ায় ০২ বছর পূর্বে আশাবুল ইতি খাতুন নামক একজনকে বিবাহ করে হাটবোয়ালিয়া, বাসাভাড়া করে থাকতে শুরু করে এবং ববিতা খাতুন ও তার সন্তানের কোন খোজ খবর নেয় না।
ববিতা খাতুন বিভিন্ন জায়গায় তার সমস্যার সমাধান চেয়ে যোগাযোগ করেও কোন সমাধান না পেয়ে। অবশেষে তার অসহায়ত্ব থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা নিকট আসেন।
পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা উক্ত বিষয়টির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তার কার্যালয়ে অবস্থিত “উইমেন সাপোর্ট সেন্টার” এর দায়িত্ব প্রাপ্ত এএসআই (নিরস্ত্র) মিতা রানী কে দায়িত্ব দেন।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ উভয় পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন।
পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় মোঃ আশাবুল ইসলাম তার স্ত্রী মোছাঃ ববিতা খাতুনের সাথে পুনরায় সংসার করতে ও সন্তানের ভরণ পোষণ দিতে সম্মত হয়। অবশেষে পুলিশ সুপার এর হস্তক্ষেপে মোছাঃ ববিতা খাতুন ফিরে পেল তার সুখের সংসার ও আরিয়ান ফিরে পেল পিতৃ স্নেহ।