চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্নাস পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অপরাধে শামীম আহম্মেদ তুষার নামে এক ভুয়া পরীক্ষার্থীকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ সোমবার চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজকেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত শামীম আহম্মেদ তুষার চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মো. খোকনের পুত্র। ভ্রাম্যমাণ আলাদত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া জাহান নাঈমা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, এই কেন্দ্রে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। এ পরীক্ষায় অংশ নেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ও জীবননগর উপজেলার আবুুল কাশেমের ছেলে মো. শহীদুজ্জামান। তার রোল নম্বর ২০২৮১৭৭ ও নিবন্ধন ননম্বর ১৮২১৫০৩৯৪২৬। কিন্তু তার পরিবর্তে আগের টানা ৮টি পরীক্ষাসহ সোমবারে অনুষ্ঠিত পরীক্ষাটিও দিচ্ছিলেন ভুয়া পরিক্ষার্থী শামীম আহম্মেদ তুষার।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নজরে আসে। পরে পরীক্ষার হলে উপস্থিত হন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া জাহান নাঈমা। সেখানে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন, ১৯৮০-এর ৩ ধারা অনুযায়ী ভুয়া পরীক্ষার্থীকে এক বছরের জেল প্রদান করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সহকারী কমিশনার সুমাইয়া জাহান নাঈমা বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ভুয়া পরীক্ষার্থীকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। আর যিনি প্রকৃত পরীক্ষার্থী তাকেও শনাক্ত করা হয়েছে। তার ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ কলেজ কৃতর্পক্ষ নেবে।’
চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক মামুন অর রশিদ বলেন, অনার্স শেষ বর্ষের পরীক্ষায় ২১৫ নম্বর কক্ষে ইতিহাস বিভাগের শহীদুজ্জামান নামের এক পরীক্ষার্থীর পক্ষে শামীম আহম্মেদ তুষার নামে একজন প্রক্সি দিচ্ছিলেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরীক্ষা চলাকালে তাকে শনাক্ত করেন। এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে এক বছরের সাজা প্রদান করেন। ইতোমধ্যে আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষ মূল পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছি। এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রেরণ করেছি।