চুয়াডাঙ্গায় নারীর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জেলা লোকমোর্চার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার বেলা এগারোটায় চুয়াডাঙ্গা ওয়েভ ফাউন্ডেশন ট্রেনিং সেন্টারের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা লোকমোর্চার সভাপতি এ্যাড. বেলাল হোসেন। সামাজিক পুঁজি গঠনের মাধ্যমে স্হানীয় প্রশাসনের সহায়তায় সরকারি সেবাসমুহ জনবান্ধব লোকমোর্চার প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশন ও লোকমোর্চা।
সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা লোকমোর্চার সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম সনি। এরপর বাল্য বিবাহের অশুভ পরিণাম ও প্রতিরোধে করণিয়সহ জেলা লোকমোর্চার পক্ষ থেকে প্রশাসনের নিকট দাবিনামা তুলে ধরেন অতিথিদের মাঝে কিশোর কিশোরী ক্লাবের মেন্টর উম্মে মায়মুনা। এরপর নিজের বাল্যবিয়ে নিজে কি ভাবে প্রতিরোধ করেছে তার অনুভূতি প্রকাশ করেন আনিকা। বাল্যবিবাহ হিন্দু ধর্মের কথা নিয়ে আলোচনা করেন দেবেন্দ্রনাথ বাবু লাল। ইসলামের বাল্য বিবাহের সমুহ নিয়ে আলোচনা করেন সভায় কাজি শামসুল হক। এরপর অতিথি ও উপস্থিত লোকমোর্চার সদস্যগণদের সাথে সভায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ নিয়ে জেলার কাজিদের সাথে আলোচনা করা হয়। এসময় সভাটি উপস্থাপন করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আব্দুল আলিম সজল।
এসময় সভার প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড.কিসিঞ্জার চাকমা বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ নিয়ে বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। বাল্যবিবাহের প্রতিটা আইন কার্যকর হচ্ছে। বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে হলে মানসিক আর বিবেক টা কে ত্যাগ করতে হবে। বাল্য বিবাহ নিয়ে সরকার অটুট। বাল্যবিবাহ সবাইকে বন্ধ করতে হবে। বাল্যবিয়ে একটি অপরাধ। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে হলে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। বাল্যবিবাহ যারা সাহায্য করে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে শাস্তি দেওয়া হবে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন করতে হবে তাহলে বাল্য বিবাহ বন্ধ হবে। পরিবার থেকে নৈতিক শিক্ষা ও সামাজিক সচেতনতা থাকলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা যাবে। বাল্যবিবাহের সাহায্য কারিদের ধরে নিয়ে এসে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর উপজেলা লোকমোর্চার সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুল আলম, সদর উপজেলা লোকমোর্চার সাধারণ সম্পাদক পারভীন লাইলা, সহ-সভাপতি নাবিলা রুখসানা ছন্দা, ও নাসির আহাদ জোয়ার্দার, দপ্তর সম্পাদক নাসির জোয়ার্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, জেলা লোকমোর্চার প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক আহাদ আলী মোল্লা, নির্বাহী সদস্য সেলিমুল হাবিব সেলিম, লোকমোর্চার সদস্য জামান আক্তার, নুরুনাহার কাকলি, শিরিনা ইয়াসমিন, ইলিয়াস হোসেন, শেখ লিটন, উম্মে হাবিবা, হেলেনা নাসরিন, আঞ্জুমান আরা, জেলা লোকমোর্চার সচিব ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম অফিসার কানিজ সুলতানা, প্রমুখ।