মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকান্ডে শিকার হওয়া বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গায় যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে।
১৯৭১ সালের এই দিনে দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিকসহ অন্য মেধাবী বাঙালিকে বাড়ি থেকে চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে ধরে নিয়ে নৃশংসভাবে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের শহিদ হাসান চত্বরে শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তর্বক অর্পণ ও শহিদ বেদিতে মোমবাতি প্রজ্বলন করে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের বিনম্র চিত্তে স্মরণ করা হয়।
মোমবাতি প্রজ্বলন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা, পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমান পিপিএম সেবা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রেজা আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবীর হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রিয়াজুল ইসলাম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আনিসুজ্জামান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
এসময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পুষ্পমাল্য অর্পনের পর চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ, চুয়াডাঙ্গা সরকারী আদর্শ মহিলা কলেজ, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, গণপূর্ত বিভাগ, জেলা আওয়ামী যুবলীগ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি), জেলা সমবায় অফিস, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস, পেশাজীবী, রাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষক-ছাত্র ও সাধারণ মানুষ শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তারপর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।