রবিবার থেকে সারা দেশে একযোগে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলো। দীর্ঘ ৫৪৪ দিন পরে স্কুলে ফিরেছেন শিক্ষার্থীরা ।শিক্ষার্থীদের পদচারনায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো ।
প্রায় দেড় বছর পরে আবার খুলেছে স্কুল, সকাল থেকেই হৈ চৈই মুখোরিত স্কুল ও কলেজ প্রাঙ্গণে । অনেকদিন পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরতে পারায় আনন্দ উত্তেজনা বিরাজ করছে প্রতিটি শিক্ষার্থীদের মাঝে। তাছাড়া চুয়াডাঙ্গায় বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নানা আয়োজনে শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরন করে নিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলার সব থেকে বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাথে চুয়াডাঙ্গা ভি জে উচ্চ বিদ্যালয় চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং চুয়াডাঙ্গা সরকারি মহিলা কলেজের সাথে চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফুল দিয়ে এবং বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়া হয়।
স্কুল কলেজ খোলায় ,শিক্ষক,অভিভাবকেরা বেশ খুশি। তারা বলছেন দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকার কারনে ছেলেমেয়েকে নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় কাটিয়েছি । এখন প্রতিষ্ঠান গুলো খোলায় দুশ্চিন্তার অবসান হলো ।
এছাড়া কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির নির্দেশ ক্রমে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই স্বাস্থ্যবিধিমালা অবলম্বন করেছেন। মাস্ক পরা ,হাত ধোয়া এবং নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে নিয়মিত ক্লাস পরিচালনা করা হবে । তবেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে করোনার ঝুঁকি কমিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়ে উঠবে বলে মনে করেন তারা।
এছাড়া অভিভাবকেরা মন্তব্য করেন আমাদেরকে একটা বিষয়ে মনে রাখতে হবে বর্তমানে কোভিড-১৯ এর সংক্রমন কমেছে কিছুটা কিন্তু একদম চলে যায়নি । আমাদের বাচ্চারা যাতে কোনভাবেই কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে সবার ।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডঃ এ কে এম সাইফুর রশিদ বলেন করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কয়েকবার চেষ্টা করেও এই মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা সম্ভব হয়নি ।
এসময় তিনি আরও বলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং সকলকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক নিশ্চিত করার মাধ্যমেই চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের পাঠদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের রোভার স্কাউট এর সদস্যরা সকলের মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিশ্চিত করেন। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর হার কম থাকার কারণে খোলা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা অনেকটা পিছিয়ে পড়লেও সংক্রমনের হাত থেকে বেঁচেছে অনেক শিক্ষার্থী।