৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা হানাদার মুক্ত দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে । ১৯৭১ সালের এই দিনে শত্রুমুক্ত হয় চুয়াডাঙ্গা। বাঙালির ইতিহাসে গৌরবময় অধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ। আর এই যুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার মুক্তিবাহিনী অবদান ছিলো অপরিসীম। দিবসটিকে ঘিরে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সাড়ে নয়টার সময় চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোঃ নজরুল ইসলাম সরকার এবং পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র মোঃ জাহাঙ্গীর মালিক খোকন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ইউনিট, জেলা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
বাঙালির ইতিহাসে গৌরব উজ্জ্বল অধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ। স্বাধীনতা সংগ্রাম যুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার মুক্তিবাহিনী অবদান ছিলো অপরিসীম। স্বাধীনতার সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত ভারত সীমান্তবর্তী এ চুয়াডাঙ্গার রয়েছে গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন দক্ষিণ পশ্চিম রণাঙ্গনের হেডকোয়ার্টার স্থাপন করা হয় এখানে। চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকেই কার্যক্রম শুরু করে তৎকালীন রেডক্রস বর্তমান রেডক্রিসেন্ট। ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার পর চুয়াডাঙ্গায় সর্বপ্রথম ২০৪ জন মুজাহিদ ও আনসারকে একত্রিত করা হয়। ৬ ডিসেম্বর পাকবাহিনী মেহেরপুর থেকে ২৮ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে চুয়াডাঙ্গায় আসে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গার মুক্তিবাহিনীরা দর্শনার মিত্রবাহিনীর সাথে যোগ দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের দিকে অগ্রসর হয়। খবর পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় শহরের মাথাভাঙ্গা ব্রিজে বোমা মেরে উড়িয়ে দেয় হানাদার বাহিনী। কিন্তু দর্শনা থেকে আসা মিত্রবাহিনী ও চুয়াডাঙ্গার মুক্তিবাহিনী পৌছালে ৭ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীরা চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা ছেড়ে কুষ্টিয়ার দিকে চলে যায়। শত্রুমুক্ত হয় চুয়াডাঙ্গা।