চুয়াডাঙ্গায় বাড়ির রাস্তা দখলের উদ্দেশ্যে হামলা, ভাঙচুর ও সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আফরোজা খাতুন ও সাহিদা খাতুন নামের দুই নারী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অভিযোগকারীরা চুয়াডাঙ্গা শহরের কাঠপট্টি এলাকার বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দাবী করা হয়, পাশের একটি জমির সঙ্গবদ্ধ ১৫ মালিক তাদের নির্ধারিত রাস্তা ব্যবহার না করে আফরোজা খাতুন ও সাহিদা খাতুনের ব্যক্তিগত রাস্তা জোরপূর্বক ব্যবহারের জন্য পূর্ব থেকেই নানা পরিকল্পনা করে আসছে।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিনা উষ্কানিতে তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ির বিভিন্ন স্থান এবং সদর দরজা ভাঙচুর করে। পরবর্তিতে তারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, আমরা দুই পরিবার আমাদের নিজ জমির দক্ষিণ পাশে যৌথভাবে ১৪ লিং জমি পথ হিসেবে ব্যবহার করে আসছি। উক্ত পথ আমাদের উভয় পরিবারের নিজ দলিলী সম্পত্তি। দলিল নং-৩৮৬০/০৩। আমাদের জানমাল ও বাড়ীর সুরক্ষার জন্য আমরা উভয় পরিবার বাড়ির পশ্চিম পাশের অংশে নিরাপত্তা গেইট এবং দক্ষিণ পাশে প্রাচীর নির্মাণ করি।
এ অবস্থায় সম্পূর্ণ বিনা উষ্কানিতে কাঠপট্টি এলাকার আকবর আলী, তার দুই ছেলে সোহেল ও জুয়েল পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ১৫-২০ জন দুষ্কৃতিকারীকে সঙ্গে নিয়ে হাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ আমাদের নিরাপত্তা গেইট ভেঙ্গে জোরপূর্বক বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে এবং আমার বাসার মেইন গেইটে আঘাট করে ভাঙ্গার চেষ্টা করে। পরে পকেট গেইট দিয়ে বাসার মধ্যে জোরপূর্বক প্রবেশ করে। আমি এসবের কারণ জানতে গেলে অনুপ্রবেশকারীরা (সোহেল ও জুয়েলসহ) আমাকে মারধর করে আহত করে।
দক্ষিণ পাশের প্রাচীর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। আমাদের মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। এই ন্যাক্কারজনক অপরাধের কারণে আমি চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করেছি। মামলা নং- ৮, তারিখ- ০৭/০২/২০২১।
এছাড়াও চুয়াডাঙ্গার দেওয়ানী আদালতে জমি সংক্রান্ত একটি মামলা চলমান রয়েছে। বর্তমানে আমরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তারা আমার পরিবারের বিরদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা আমাদের ব্যক্তিগত জমি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে নিজেদের দলিলে অন্তর্ভূক্ত করেছে। তাদের জমির দক্ষিণ পাশে (পূর্বনির্ধারিত) ১২ ফুট রাস্তার ব্যবহার না করে গায়ের জোরে আমাদের জমি জবর দখল করার পায়তারা করছে।
অভিযুক্ত আকবর গং আমাদের জমির সন্নিকটে জমি ক্রয়ের পর থেকেই নানাভাবে আমাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে আসছে। যার প্রতিবাদ করতে গেলেই তারা নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে থাকে।