নির্মাণ সামগ্রীর অন্যতম উপাদান হলো ইট। ইট ছাড়া রাস্তা-ঘাট, ইমারতের অবকাঠামো করা দুস্কর। সেই ইটেও চলছে কারসাজি আর ফাঁকিবাজি। ইটের আকার কারসাজি করে ছোট করা হচ্ছে। তবে তা প্রয়োজনের তাগিদে নয়, ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার লোভে ছোট করা হচ্ছে ইটের আকার ।
এতে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ঠকছেন ক্রেতা। ইটের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতায় ১ থেকে ৪ সেন্টিমিটার পর্যন্ত কমিয়ে দিচ্ছেন ইটভাটার মালিকেরা।
সম্প্রতি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে এমন প্রতারণা ধরা পড়েছে। এ অপরাধের কারণে চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গায় ৪ ভাটা মালিককে নির্ধারিত পরিমাপ থেকে ছোট পরিমাপের ইট তৈরি ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ।
গতকাল বুধবার দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলার ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সজল আহমেদ।
এ সময় চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলার নীলমনিগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও পারদূর্গাপুর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে নির্ধারিত পরিমাপ থেকে ছোট পরিমাপের ইট তৈরি ও মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৩৮, ৪৮ ধারায় মেসার্স এম, এ, এম ব্রিকসের মালিক নান্নু মিয়াকে ৭০ হাজার টাকা, মেসার্স এ, ডি ব্রিকসের মালিক সেলিম চেয়ারম্যানকে (সাবেক) ৪৮ ধারায় ৫০ হাজার টাকা, মেসার্স টি এন ব্রিকসের মালিক পাপন মিয়াকে ৩৮,৪৮ ধারায় ৩০ হাজার টাকা এবং মেসার্স এম এস ব্রিকসের মালিক মতিয়ার রহমান বাবুকে ৩৮,৪৮ ধারায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানের সময় উপস্থিত জনসাধারণকে ভোক্তা অধিকার বিষয়ে সচেতন করা হয়।
অভিযানে সহযোগিতায় ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ বিল্লাল হোসেন ও চুয়াডাঙ্গা পুলিশ।
ছবি-৫