চুয়াডাঙ্গায় আসন্ন ঈদুল ফিতরের ঈদ কে সামনে রেখে অনেক বিপনি বিতান গুলোতে বেচাকেনায় যেন অসাধু উপায় অবলম্বন করছে ব্যবসায়িরা। এ সকল অসাধু ব্যবসায়ীদের রুখতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। তারই ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গায় চারটি দোকানে ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা বারোটার দিকে চুয়াডাঙ্গার নিউমার্কেট, প্রিন্স প্লাজা ও কবরী রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার নিউ মার্কেটে অভিযানে মেসার্স হৃদয় ফ্যাশান নামক প্রতিষ্ঠান তদারকিকালে নির্ধারিত লাভের চেয়ে অতিরিক্ত লাভে বিভিন্ন কাপড় বিক্রয় ও পণ্যের ভাউচার যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করার অপরাধে মালিক আকতার হোসেনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ও ৪৫ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর মেসার্স আজিজ বস্ত্রালয় এর মালিক আজিজ মাকসুদকে নির্ধারিত লাভের অতিরিক্ত লাভে বিভিন্ন জামা-কাপড় বিক্রয়ের অপরাধে ৪০ ধারায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে প্রিন্স প্লাজা মার্কেটে মেসার্স স্টাইল ওয়ান প্রতিষ্ঠানে তদারকিতে ৭৫০ টাকা মুল্যের একটি শার্টে ২ হাজার ৮৫০ টাকা প্রাইস ট্যাগ লাগানোর প্রমাণ পাওয়া যায়। অর্থাৎ ৭৫০ টাকা দিয়ে ক্রয় করা শার্টে ২ হাজার ১০০ টাকা লাভ রাখা হয়েছে। এই অস্বাভাবিক মুল্য বৃদ্ধির অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার একেএম আলিমুজ্জামানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। কবরী রোডে মেসার্স ভাই ভাই ফুসকা হাউসকে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ করে বিক্রয়ের অপরাধে ৫১ ধারায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানের শেষ পর্বে চুয়াডাঙ্গার খন্দকার, মিঠাইবাড়ি, সাম্পানসহ মিষ্টির প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঈদে কোন প্রকার শর্ত দিয়ে পণ্য বিক্রয় ও মুল্য বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করা হয় । অভিযানটি সহযোগিতায় ছিলেন জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি টিম। এ অভিযান অব্যহত থাকতে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ।