গণমাধ্যমে খবরের শিরোনামে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি। দুই প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি ও ভ্লাদিমির পুতিন একে অপরকে হুঙ্কার দিয়ে যাচ্ছেন।
এসব খবরে যখন উত্তপ্ত গোটা বিশ্ব তখন রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট চলে এল ফুটবলের মাঠেও।
লিসবনে বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগে মাঠের লড়াইয়ে জেতেনি কোনো দলই। ২-২ গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে আয়াক্স বা বেনফিকা।
দল না জিতলেও এদিন সমতাসূচক গোল করে ঠিকই নিজ দেশের সমর্থকদের হৃদয় জিতলেন ইউক্রেনের ইয়ারেমচুক।
গোল করেই গায়ের জার্সিটা খুলে ফেলেন বেনফিকার এ তারকা স্ট্রাইকার। তখনই জার্সির নিচে পরে থাকা তার টি-শার্টটি দৃশ্যমান হয়। তাতে আঁকা ছিল ইউক্রেনের জাতীয় প্রতীক। গত ১০০ বছর ধরে প্রতীকটি ব্যবহার করে আসছে দেশটি।
গোলে উদ্যাপনে এই প্রতীক দেখাতেই জার্সি খুলেন ইয়ারেমচুক। মূলত চলমান যুদ্ধংদেহী পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানালেন দেশটির জাতীয় দলের খেলোয়াড়।
এমন স্পর্শকাতর উদ্যাপনের জন্য অবশ্য শাস্তিও পেয়েছেন ইয়ারেমচুক। মাঠেই তাকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।
গোটা ম্যাচই ছিল ফুটবলের দারুণ এক যুদ্ধ। আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ, গোল, পাল্টা গোল-রোমাঞ্চে ভরপুর ছিল ম্যাচটি। তবে সবকিছু ছাপিয়ে বেনফিকা-আয়াক্স ম্যাচ শেষে আলোচনায় ইয়ারেমচুকের উদযাপন ও রশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি।
ম্যাচের ১৮ মিনিটেই তাদিচের গোলে এগিয়ে যায় আয়াক্স। ২৬ মিনিটে সেবাস্তিয়েন হলারের আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফেরে বেনফিকা। তবে ২৯ মিনিটে ফের দলকে এগিয়ে দেন হলারই। ৭২ মিনিটে রোমান ইয়ারেমচুকের গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে বেনফিকা।
১৯৯৫ সালে ইউক্রেনের লেভিভ শহরে জন্ম ইয়ারেমচুকের। সাত বছর বয়সে সেখানকার ক্লাব কারপাতি লেভিভের যুব দলে শুরু হয় তার ফুটবল ক্যারিয়ার। প্রশিক্ষণের ৫ বছর পর তিনি নাম লেখান দিনামো কিয়েভের যুব দলে। ২০১২ সালে দিনামোর সিনিয়র দলে অভিষেক ঘটে।
দিনামো থেকে বেলজিয়ামের ক্লাব জেন্ত হয়ে গত বছর ইয়ারেমচুক বেনফিকায় নাম লেখান।