পিরোজপুরে ইন্দুরকানীতে ছবি তুলতে এসে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে মোরেলগঞ্জ উপজেলার দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী তার স্কুলের ব্যবহৃত ছবি তুলতে ইন্দুরকানী উপজেলার ঘোষেরহাট বাজারে আসেন।
ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে ২ বছর সম্পর্ক থাকা মোরেলগঞ্জ উপজেলার সন্নাসী এলাকার মোয়াজ্জেম খানের ছেলে তরিকুল ইসলামের দেখা হয়। এ সময় তরিকুলের খালাতো দুলাভাই দক্ষিণ ইন্দুরকানী গ্রামের আ. রহমান হাওলাদারের ছেলে দুই সন্তানের জনক মাসুম হাওলাদার তাদের দেখে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। এ সময় তরিকুলকে আগে পাঠিয়ে দিয়ে স্কুলছাত্রীকে নিজের বাড়িতে না নিয়ে দক্ষিণ ইন্দুরকানীর জব্বার মৃধার ছেলে এনামুল মৃধার বাড়িতে রেখে তাকে ধর্ষণ করেন।
মেয়েটি কৌশলে দুই দিন পর অন্য একজনের ফোনের সহযোগিতায় তার প্রেমিক তরিকুলকে জানালে তরিকুল স্কুলছাত্রীর স্বজনদের জানান। পরে ছাত্রীর মামা ইন্দুরকানী থানা পুলিশের সহযোগিতায় শুক্রবার রাতে এনামুলের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করেন।
স্কুলছাত্রীর নানি বলেন, আমার নাতি এতিম। ছোটবেলায় মা মারা গেছে। বাবা অন্যত্র বিয়ে করে চিটাগাং থাকেন। ছবি তুলতে এসে বাড়িতে না গেলে অনেক খোঁজাখুঁজির পর তরিকুলের মাধ্যমে জানতে পারি স্কুলছাত্রীকে আটকে রাখা হয়েছে। তখন পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করি।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির জানান, ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, সত্যতা যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।