জতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপির একাংশের উদ্যোগে বিরাট শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকালে হাইস্কুল ফুটবল মাঠে গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপির একাংশের উদ্যোগে এই সমাবেশ ও প্রধান সড়কে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।
মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও কাজিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাহারবাটি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু।
জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাহবুব।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গাংনী উপজেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী পৌর বিএনপির ২নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সুলেরী আলভী, গাংনী পৌর বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ডাকু, গাংনী উপজেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সভাপতি ও ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এনামুল হক, গাংনী পৌর বিএনপির সাবেক নেতা শাজাহান সেলিম, আশাদুল হক আশা, মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা শাহিবুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান বাবলু বলেছেন, ৫ আগষ্টের আগে এদেশের হাজার হাজার দামাল সন্তান বুকের তাঁজা রক্ত দিয়ে এই দেশকে নতুন করে স্বাধীন করেছে। স্বৈরাচারী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হাসিনার নির্দেশে এসব দামাল ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। এসব ছাত্র-জনতাকে হত্যার দায়ে খুনি হাসিনার ফাঁসি কার্যকর করতে হবে।
তিনি বলেন, ৫ আগষ্টের পরে প্রশাসনের সকল দফতরে কাজের ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রশাসনকে তাঁদের সেই ধীর গতিকে সচল করতে হবে। কাজের গতি সচল না করে যারা দেশকে অচল করার চেষ্টা করবেন, তাঁদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।
বাবলু আরও বলেন, গাংনী উপজেলার আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হাতে এখনো লাইসেন্সবিহীন অজস্র অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। অনতিবিলম্বে এসব অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ও তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনকে উদ্যোগে নিতে হবে। নাহলে বাড়তে থাকবে সন্ত্রাসী কার্যক্রম।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের পুলিশ প্রশাসন বিগত ১৭ বছরে আমার বিরুদ্ধে ১৮ টি মিথ্যা মামলা দিয়েছে। মিথ্যা মামলায় আমাকে বারবার কারা বরণ করতে হয়েছে। রিমান্ড নিয়েছে আমাকেসহ বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের। আমি আপনাদের পাশে ছিলাম, আগামীতেও পাশে থাকবো।
আসুদুজ্জামান বাবলু আরও বলেন, সম্প্রতি দেখলাম, কেউ নিজেকে জনতার এমপি, কেউ জেলা বিএনপির সভাপতি হয়ে গেছি পরিচয় দিচ্ছেন। আমি জেলা বিএনপির সভাপতি বা সম্পাদক হয়নি। আপনারা আমাকে ভালোবেসে আজ আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন।
তিনি বলেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন, তার ভাই অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের ১৭ বছর লড়াই সংগ্রাম করেছে। যা সারা বাংলাদেশে নজীন স্থাপন করেছে। মাসুদ অরুন ও জেলা বিএনপি সারা বাংলাদেশের বিএনপির আইকন। অথচ, তাঁদের বিরুদ্ধে একটি কুচক্রি মহল কুৎসা রটনা করছে। মেহেরপুরের মানুষ তাঁদের সেই কুৎসা রটনার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে।
দিবসটি উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে একটি বিরাট শোভাযাত্রা ফুটবল মাঠ থেকে শুরু হয়ে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে হাসপাতাল বাজার এলাকা ঘুরে বড় বাজার শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল ও সমাবেশে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমীকদলসহ অঙ্গ দলের হাজার হাজার কর্মী সমর্থক জাতীয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন, প্লেকাড ও ধানের শীষ হাতে খন্ড খন্ড মিছিল সহকারে এসে গাংনী হাইস্কুল মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। সমাবেশে এলাকার কয়েক হাজার নারী অংশ নেন।