জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় জন্মনিবন্ধন করে দেওয়ার কথা বলে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নাজমুল হক বাবু (২২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী কিশোরীর অভিযোগে সোমবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
মঙ্গলবার সকালে আসামিকে আদালতে সোপর্দ ও ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাবু নিলাক্ষিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে। সে নিলাক্ষিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা।
জানা যায়, শেরপুর জেলার প্রতিবেশী শ্রীবরদী উপজেলার বালুঘাটা গ্রামের এক নারী পোশাক শ্রমিক ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করতে যান। কিন্তু জন্মনিবন্ধন না থাকায় চাকরিতে যোগদান করতে পারেননি তিনি।
গত তিন মাস আগে নিলাক্ষিয়া ইউপির উদ্যোক্তা নাজমুল হাসান বাবু ওই মেয়েকে একটি ভুয়া জন্মসনদ করে দেয়। জন্ম সনদটি ভুয়া হওয়ায় তার কোনো কাজে আসেনি। এর পর ওই পোশাক শ্রমিক বাবুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে আবারও যোগাযোগ করে।
বাবু ওই নারীকে ঢাকা থেকে নিলাক্ষিয়ায় আসতে বলে। গত ১৩ জানুয়ারি ওই নারী ঢাকা থেকে তার নানার বাড়ি বকশীগঞ্জ উপজেলার সাজিমারা এলাকায় আসেন।
১৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম সনদ নিতে যান তিনি। সার্ভারের ত্রুটি আছে বলে তাকে বিকালে আসতে বলে উদ্যোক্তা বাবু।
বিকালে মোবাইল ফোনে বাবু জানায় সার্ভার এখনও ঠিক হয়নি। তাই সন্ধ্যার পর ইউনিয়ন পরিষদে আসতে হবে। সন্ধ্যার পর ইউনিয়ন পরিষদে গেলে ওই নারীকে ধর্ষণ করে নাজমুল হক বাবু। পরে স্বাক্ষর ছাড়া একটি জন্মনিবন্ধন তার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়।
বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ওই নারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে রাতেই বিদায় করে দেয় বাবু। বাবুর ভয়ে নিরুপায় হয়ে ওই নারী বাড়ি চলে যায়।
সোমবার বিকালে বকশীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দেয় নির্যাতিত নারী। অভিযোগের পরই ইউপির উদ্যোক্তা নাজমুল হক বাবুকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
ওই ঘটনায় বাবু ও ময়না নামে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম সম্রাট জানান, এ ঘটনায় নাজমুল হক বাবু নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে আসামিকে আদালতে সোপর্দ ও ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।