জমি বিক্রির টাকার লুট করতে খুন করা হয় মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার বামুন্দী এলাকার সুন্দরী বেগম। সুন্দরী বেগমের একটি জমি আছে যে জমি ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সুন্দরী ক্রেতার নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়েছিলেন। সেই টাকা ছিনতাই করতে একজন সহযোগীকে নিয়ে সুন্দরীকে হত্যা করে ভাসুরের ছেলে জামিরুল ইসলাম।
শুক্রবার সকালে মেহেরপুর পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য তুলে ধরেন পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী।
পুলিশ সুপার বলেন, মামলাটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা হিসেবে আমলে নিয়ে রহস্য উদঘাটন করার জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত ওসি জুলফিকার আলীর তদন্ত শুরু করেন। পুলিশের আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিবির একটি চৌকস টিমের সহযোগীতায় হত্যার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত আসামী জামিরুল ইসলাম (৩৩)কে আটক করা হয়। জামিরুল ইসলাম কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার শিতলাইপাড়ার আবু আফফান এর ছেলে। তবে তার সহযোগী পলাতক রয়েছে।
তিনি আরো জানান, আসামি আটকের পর ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং জমি বিক্রি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার কথাও স্বীকার করে। টাকা দিতে না চাইলে জামিরুল তার সহযোগীকে নিয়ে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটায়। সুন্দরী বেগমের গলায় শাড়ি জড়িয়ে তাকে হত্যা করে। এসময় রুস্তুম আলী বাঁধা দিলে হাত কুড়াল দিয়ে তার উপরও হামলা চালায় আসামিরা। দুজনই মারা গেছে ভেবে আসামিরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তবে এ হত্যাকান্ডের সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পুলিশ সুপার পদ মর্যাদা) শেখ জাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম, ওসি ডিবি জুলফিকার আলীসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা ।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মে গাংনীর বামুন্দীতে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে সুন্দরী বেগম নামের এক মহিলার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। একই ঘরের চৌকির উপর থেকে সুন্দরীর স্বামী রুস্তম আলীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।