আমাদের মাছ বেরিয়ে যায়। লবনে সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। আমরা খুব কষ্টে আছি। আমরা নোনা পানি থেকে একটু মিষ্টি পানি পেতে পারি তার ব্যবস্থা করুন। দু’বার বাঁধ তৈরি হলেও তা ভেঙে গেছে। আমাদের জন্য মজবুত করে বাঁধ তৈরি করে দিন’- কান্না জড়িত কন্ঠে বলছিলেন মোংলার কানাইনগর গ্রামের গৃহবধু সোনালী সর্দার (৩৫)।
সোনালীর আকুতি, ‘আমরা দরিদ্র, আমরা ক্ষুধার্ত। আমাদের জীবনতো গেছেই, আমাদের সন্তানেরা যেন মানুষের মত বাঁচতে পারে’।
রবিবার (০৩ অক্টোবর) খুলনার মোংলা উপজেলায় পরিদর্শনরত ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের কাছে দুর্ভোগের কথা তুলে ধরছিলেন সোনালী। চাঁদপাই ইউনিয়নে আয়োজিত নাগরিকদের সাথে জলবায়ু বিষয়ক মতবিনিময় সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের আহবায়ক সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক এবং বাসন্তী চাকমা এমপি।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রকাশ কর্মসূচির আওতায় এই পরিদর্শন ও ক্লাইমেট টক কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করছে প্রতীকি যুব সংসদ, ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস এবং আর্থ সোসাইটি।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলেশ মজুমদার, ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা তারিকুল ইসলামসহ স্থানীয়রা জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের কথা তুলে ধরেন। তারা টেকসই বেড়িবাঁধ এবং সুপেয় পানির দাবি জানান।
ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের আহবায়ক নাহিম রাজ্জাক এমপি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের কথা জাতীয় সংসদসহ আসন্ন জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে (Kc২৬) তুলে ধরা হবে। জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সুবিচার আদায়ে কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা-ও।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দ্য আর্থ সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন মিয়া, প্রতীকি যুব সংসদের চেয়ারপার্সন আমিনুল ইসলাম, নির্বাহী প্রধান ও ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের সমন্বয়ক সোহানুর রহমান, প্রকল্প সমন্বয়কারী ময়ূরী আক্তার টুম্পা।