গতকালই শিরোপার কাছাকাছি চলে গিয়েছিল সিলেট। আর উৎসবের সেই মঞ্চটা তৈরি করেছিলেন তিন পেসার রেজা রহমান রাজা, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ। যদিও বরিশালের দেওয়া ১০৫ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ২ উইকেট হারায় সিলেট।
তবে অধিনায়ক অমিত হাসান ও নাসুম আহমেদ দারুণ জুটিতে বরিশাল বিভাগকে হারিয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো সিলেট বিভাগ।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আসরের ষষ্ঠ রাউন্ডে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৫ উইকেটে জিতেছে স্বাগতিকরা। ছয় ম্যাচে চারটি জয় ও দুটি ড্রয়ে সিলেটের পয়েন্ট ৩৭। দুইয়ে থাকা ঢাকা বিভাগ সমান ম্যাচে দুটি জয় ও চারটি ড্রয়ে অর্জন করেছে ২৫ পয়েন্ট। জাতীয় লিগের আর একটি রাউন্ড বাকি থাকায় তাদের পক্ষে সিলেটকে টপকানো সম্ভব না।
শেষ দিনে জয়ের জন্য সিলেটের লক্ষ্য ছিল মাত্র ১০৫ রান। তবে ২৭ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। সেই চাপ সামলে চতুর্থ উইকেটে ৭৭ রানের জুটি গড়েন অমিত ও নাসুম। ৫২ বলে ৪৪ রান করা নাসুম আউট হন জয় থেকে ১ রান দূরে থাকতে। সিঙ্গেল নিয়ে দলকে শিরোপা এনে দেন অধিনায়ক অমিত। উল্লাসে মাতানো অমিত অপরাজিত থাকেন ৬৯ বলে পাঁচটি চারের সাহায্যে ৩৮ রানে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে ৩০৪ রান সংগ্রহ করেছিল বরিশাল। রাজা ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ৬৯ রান খরচায়। জবাব দিতে নেমে ৩৪২ রান করে সিলেট। ৩৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ লিড পাওয়ায় বড় অবদান ছিল তোফায়েল ও রাজার। নবম উইকেটে ৯৪ রানের জুটি গড়েছিলেন দুজন। তোফায়েল ৮৪ বলে ৬৪ ও রাজা ১৪০ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
আগের দিন বরিশালকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪২ রানে গুটিয়ে দেওয়ায় খালেদ ও তোফায়েল রাখেন মূল ভুমিকা। খালেদ ৪ উইকেট দখল করেন ১৮ রানে। তোফায়েল ৩ উইকেট পান ১৭ রানের বিনিময়ে। বোলিং বিভাগের এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে ম্যাচ ও শিরোপা জেতার কাছে চলে যায় সিলেট।
দুইয়ে থাকা রংপুর কক্সবাজার স্টেডিয়ামে ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে জয় থেকে অনেকটা দূরে। তাতেই মূলত নিশ্চিত হয়ে গেছে সিলেটের শিরোপা। রংপুর এই ম্যাচে ঢাকা মহানগরকে হারালেই শুধু আরও একটি ম্যাচ অপেক্ষা করতে হতো সিলেটকে। কিন্তু ওই ম্যাচে রংপুরের জয়ের সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে। তাতেই এক ম্যাচ বাকি থাকতে সিলেটের শিরোপা উল্লাস।
সূত্র: ইত্তেফাক