দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ও জীবননগরে ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ ও মাটি বহন ট্রাক্টরের শব্দে ৬ গ্রামের মানুষের ঘুম হারাম শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ সংবাদের জেরে খুলনা ও কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তর বিভিন্ন ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করেন।
এসময় অভিযানিকদল বিভিন্ন অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতে ৪ ইটভাটা মালিককে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
সোমবার বিকাল ৪ টায় খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মো. শবিরুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের ৬ (ক) ধারায় ও ১৬ ধারার দন্ড বিধি মোতাবেক বিভিন্ন অপারাধে স্টার ব্রিকসের মালিক ইদ্রিস আলীকে ২ লক্ষ টাকা ও একই অপরাধে সুপার ব্রিকসের মালিক ফরমান আলীকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করেন। এসময় অভিযানিক দল ভাটা মালিকদের হুশিয়ারি করে দিয়ে বলেন, কোন রকম ভাটায় কাঠ পোড়ানে চলবে না। এর আগে দুপুর ২ টার দিকে জীবননগর উপজেলার ২টি ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের একই অভিযানিকদল অভিযান চালায়। এ অভিযানে জীবননগরে উপজেলার অনিক ইট ভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে ইটভাটার মালিক রাজ্জাককে বিভিন্ন অপরাধে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করেন। পরে একই অপরাধে এমএআর ইটভাটা মালিককে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। এ অভিযানিক দল সাংবাদিকদের জানান, আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন আকন্দবাড়িয়া গ্রামে অবস্থিত ইদ্রিস আলীর স্টার ব্রিকস ও দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌর এলাকার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামে অবস্থিত ফরমান আলীর সুপার ব্রীকসের নামে
কয়েকদিন পূর্বে দর্শনায় দুটি ইটভাটার কারনে ৬ গ্রামের মানুষ অতিষ্ট : রাত- দিন ২৪ ঘন্টা খাল ও কৃষি জমির মাটি কাটার মহোৎসব : প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা শিরোনামে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সংবাদ প্রকাশের জেরে গতকাল সোমবার বিকালে পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ শবিরুল ইসলাম এর নের্তৃত্বে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আকন্দবাড়িয়া গ্রামে অভিযানিক দল সত্যতা পাওয়ায় দুটি ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করেন।
এ অভিযানে দুটি ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ২ লক্ষ করে ৪ লক্ষ টকা জরিমানা করেন। এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা ও রায় প্রদান করেন পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় খুলনা কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ শবিরুল ইসলাম। দন্ডপ্রাপ্তরা ঘটনাস্থলে জরিমানার টাকা পরিশোধ করে অন্যান্য দন্ড থেকে রেহায় পান।
এ অভিযানে সহায়তা করেন কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই আফজাল হোসেন, এএসআই সাদ্দাম হোসেন সহ সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা।