জীবননগরে ৪০ দিনের কমসূজনী কাজের চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। খাতা কলমে ৪০ জনের নামের তালিকা থাকলেও সেখানে আছে মাত্র ২২ থেকে ২৫জন বাদ বাকি লোকজন উপস্থিত না থাকলেও তোলা হচ্ছে হাজিরা।
তাছাড়া কমসূজনী কাজ দরিদ্রদের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে স্বজন প্রীতিরর অভিযোগ রয়েছে। এদিকে স্থানীয়রা বলছেন পিআইও অফিসের কোন কর্মকর্তা না থাকায় এ কাজে অনিয়ম হচ্ছে ।
সরেজমিনে বাঁকা ইউনিয়নের ঘোষনগর গ্রামের মাঠের রাস্তার উপর মাটি দেওয়ার দৃশ্য দেখে হতবাক হওয়ার মত অবস্থা। হাজিরা তোলার জন্য খাতা থাকার কথা থাকলেও সেখানে কোন হাজিরা খাতা নেই। ৪০জন সদস্য থাকার স্থলে আছে মাত্র ২২জন তাও আবার মুখে মুখে। অথচ নামের তালিকায় আছে ৪০জনের নাম ।
একই অবস্থা আরও একটি স্থানে, সেখানে ৪০জনের পরিবর্তে আছে ৩২জন। এর মধ্যে আবার তিনজন পারিবারিক কাজের জন্য অন্য স্থানে চলে গেছে। হাজিরা খাতার বিষয়ে জানতে চাইলে কাজের দায়িত্বরত সরদার মিয়াজান বলেন, হাজিরা খাতা এখনও পাইনি এ জন্য হাজিরা তোলা হয়নি।
তবে আমাদের ৪০জন সদস্য আছে তারা সবাই হাজির হয়। বাঁকা ইউপি সদস্য খাইরুল ইসলাম বলেন, আজ প্রথম দিন তো এজন্য লেবার কম এয়েছে। তবে আগামীতে সবাই আসবে । বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম কমসূজনী কাজের অনিয়মের কথা স্বীকার করে বলেন, কমসূজনী কাজ হচ্ছে অনেক দিন পর । আর আজ প্রথম কাজ শুরু হচ্ছে তো এ জন্য লোকজন কম আসছে তবে আশা করি আগামীতে সবাই কাজে উপস্থিত হবে ।
জীবননগর উপজেলার পিআইও মিজানুর রহমান বলেন, কমসূজনী ৪০দিনের কাজটি আসলে অতিদরিদ্রদের জন্য তারা প্রতিদিন ২শ টাকা হাজিরা পাবে এর মধ্যে ৫০টাকা ব্যাংকে তাদের নামে জমা থাকবে আর ১৫০টাকা হাজিরা তারা প্রতিদিন পাবে ।
এর পর কাজ শেষে তারা তাদের জমাকৃত টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নিতে পারবে । আর অনিয়মের বিষয়টার ব্যাপারে আসলে আমাদের অফিসে লোকবল কম থাকার কারণে সমস্থ কাজ একা দেখা সম্ভব হয় না। তবে কাজে যদি অনিয়ম পাওয়া যায় তা হলে যারা এর সাথে জড়িত আছে তদন্ত পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।